নেছারাবাদ প্রতিনিধি।
পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে নিখোঁজের চার দিনের মাথায় মোঃ হাসানুর রহমান অপু নামে এক যুবকের মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে দক্ষিন সেহাংগল (সুন্দর) গ্রামের রুমান শেখ এর বাড়ির পুকুর পাড়ে খড়ের গাদার পাশ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুব্ধ জনতা রুমানের মা লিপি বেগম বোন সুমনা আকতার ও ভাইয়ের মেয়ে সাদিয়া আক্তারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সরেজমিনে জানা যায় সমুদয়কাঠি ইউনিয়নের সেহাংগল গ্রামের সাবেক ব্যাংক কর্মচারী খুলনা প্রবাসী আঃ জব্বারের ছেলে মোঃ হাসানুর রহমান অপুকে গত বুধবার একই গ্রামের সাবেক মেম্বর মকবুল হোসেন শেখের ছেলে রুমান শেখ ডেকে নেয় বলে জানান নিহতের মামাতো ভাই আজাদ। সেই থেকে অপু নিখোঁজ রয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে ওই গ্রামের জহির নামের এক ছেলে রুমানের বাড়ির পাশের বাগানে সুপারি পাড়তে গেলে দুর্গন্ধ পায়। পরে জহির বিষয়টি পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার সামনে থাকা লোকজনকে জানালে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি খুঁড়ে লাশ দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার দেয়।
এ সময় ডাক চিৎকার শুনে শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে অপুর লাশ দেখে বিক্ষুব্ধ হয়ে রুমানের ঘর ঘেরাও করে ভাঙচুর করে এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। এবং রুমানের দুইটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা রুমানের মা লিপি বেগম, বোন সুমনা আকতার ও ভাতিজি সাদিয়া আক্তারকে আটক করে স্থানীয় চৌকিদারের হাতে তুলে দেন এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এবং
অপুর মাটি চাপালাশ উদ্ধার করে ও আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।
ঘটনার পর থেকে রুমান পালাতক রয়েছে। লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. শফিউর রহমান ও সহকারী পুলিশ সুপার (নেছারাবাদ- কাউখালী সার্কেল) সাবরিনা মেহেবুব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয় নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি মো. ছরোয়ার হোসেন জানান লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রসঙ্গত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রুমান এরপূর্বে সেহাংগলের মা-মেয়ে জোড়া খুনের প্রধান আসামী ছিলেন। ওই মামলায় জামিনে থেকে এলাকায় নানা প্রকার