আজ ১৫ ই মে বুধবার, বেলা একটায় , বারো দফা দাবী নিয়ে প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ডাকে, মেট্রো ভবন অভিযান ও ডেপুটেশন দিলেন।
প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মদন মিত্র , এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সমীর বেরা, শুভাশীস সেনগুপ্ত ,প্রদীপ দে, আলপনা, মন্টু সহ অন্যান্যরা।
12 দফা দাবি গুলি ছিল,
এক, মেট্রো রেলওয়ে কে কোনভাবেই বেশরকারীকরণ করা যাবে না।
দুই, যাত্রী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে মোটো চেয়ারম্যানের পরিবর্তে টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করা চলবে না।
তিন, রেল বোর্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করে, বেআইনিভাবে মিনি স্টোরিয়াল ক্যাডারে মারজোড় করা যাবে না।
চার, রানিং স্টাফ সমেত সমস্ত শুন্য পদ অবিলম্বে পূরণ করতে হবে।
পাঁচ, অবিলম্বে সুনির্দিষ্ট পোস্টিং ও প্রমোশন নীতি চালু করতে হবে।
ছয়, সমস্ত চালু লাইনের জন্য রেভিনিউ পোস্ট তৈরি করতে হবে।
সাত, মেট্রোরেলের ট্রাফিক কর্মীদের জন্য, অন্যরেলের মতো সমান ভাতা ও সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।
আট, ট্রাকম্যানদের লাগাতার নাইট ডিউটি বন্ধ করতে হবে।
নয়, পুরানো পেনশন নীতি অবিলম্বে চালু করতে হবে।
দশ, অবিলম্বে বকেয়া এএম সি পি প্রদান করতে হবে।
এগারো, এইচ ও ই আর অবহেলা করে কাউকে অতিরিক্ত কাজ করানো চলবে না।
সকল দাবীকে ভিত্তি করে, মদন মিত্র মহাশয় মঞ্চে একটাই হুঁশিয়ারী দিলেন ,যদি এই দাবীগুলি পুরো না হয়, তবে আমরা সবে আন্দোলন শুরু করেছি ,কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা আমাদের জানা আছে। আর কতদিন পালিয়ে বেড়াবে সেটাও আমরা দেখে নেব। শুধু ভোটের জন্য আমরা অপেক্ষায় রইলাম, ভোটের পরই আমরা বিভিন্ন স্টেশন পরিদর্শন করব এবং সেখানে সকল কর্মচারীদের কাছে আমরা জানতে চাইবো তাদের দাবী দাওয়া ও মতামত, আমাদের কাছেও খবর আছে বিভিন্ন অফিসারেরা কর্মচারীদের কে গালিগালাজ পর্যন্ত দিতে ছাড়েননি, শুধু তাই নয় অফিসে যে ডায়নটিক বসানো হয়েছে, সেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে কর্মচারীদের ঢুকতে হয়, কোন ধরনের ব্যবস্থা, বিভিন্ন দপ্তরের শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়োগ করা হচ্ছে না, এবং আজ আমরা এখানে ডেপুটিশন দেবো জানানো সত্বেও, অফিসাররা কেন বেরিয়ে গেল তার জবাব দিতে হবে, আমি যদি একটা নোটিশ এ সকলকে পার্মানেন্ট করাতে পারি, ও আমার দৃঢ় বিশ্বাস কিভাবে আদায় করতে হয় সেটা জানি, ইউনিয়নের সকল কর্মচারীদের ও সকল সদস্যদের একটা কথাই বলবো, আর দেরি না করে, এই আন্দোলন আরো জোরদার কর আমি আছি, এখানে আমি কোন নেতা বা মন্ত্রী বা বিধায়কের আসনে আসিনি। আমি এসেছি সাধারণ মানুষের পাশে লড়তে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা