স্টাফ রিপোর্টার
মোঃ সুলতান হোসেন খানের উপর গতো ১৪মে
রাতে কীর্ত্তিপাশার মোড় পথসভা চলাকালীন সময়ে
মঞ্চে সন্ত্রাসী হামলায় সমর্থনকারীরা সহ শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে বরিশাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন।আজ ১৬ই মে দুপুর একটায় হাসপাতালে ডাক্তারের নিয়ম নীতি মেনে নির্বাচনের জন্য ঝালকাঠি সদরে নিজের বাসায় এম্বুলেন্স করে এসেছেন, তার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ। তারপরও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা মেনে স্বচ্ছ ভোটারের লক্ষ্যে জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার জন্য নির্বাচনে জন্য এসেছেন। কিন্তু তিনি খুবই ব্যথিত। তিনি বলছেন আজ আমার পিতার সমতুল্য দুজন অভিভাবক আমাকে বাঁচাবার জন্য নিজেরা মাথা পেতে দিলেন। তারা ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলেন দেশের জন্য। আজ বর্তমানে স্বৈরাচারের হাত থেকেও নিজেদের রক্ত ঝরিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেন
মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ফজলুল হক মিলু,শারীরিকভাবে অনেক অসুস্থ মাথা ফেটে গেছে, স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক হয়ে একজন মুক্তিযোদ্ধার গায়ে আঘাত আমার বিশ্বাস এটা
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মেনে নেবেন না। তিনি যেন সন্ত্রাসী দলদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করেন। ঝালকাঠির সুশীল সমাজ এবং সকল মুক্তিযোদ্ধা ব্যক্তিবর্গ ও সাধারণ জনগণ মেনে নেবেনা।হামলা যজ্ঞের পর থেকে ঝালকাঠি উপজেলার সাধারণ জনগণ বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা গড়ে তুলেছেন। সবাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপরে হামলার বিচার প্রত্যাশা করছেন।এ বিচার সুষ্ঠু না হলে সাধারণ জনগণ আইনের প্রতি আস্থা হারাবে।
তার পরিবারের সদস্যরা দুঃখ প্রকাশ করেন।
ঝালকাঠি সুন্দর একটি শহর ছোট একটি নগরী,১৯৮১ সাল থেকে সুলতান হোসেন খান ওতোপ্রত ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত আছেন। তাকেও আজকে ছাড় দেয়া হলো না।
যারা মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষা বিদ্যাপীঠ মহাবিদ্যালয় তৈরি করেন নিজের টাকায়, যাদের টাকা খেয়ে লালিত পালিত হয়েছেন তারাই তার মাথায় আজকে বাড়ি দিলেন। অপরাধীরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাদের এখনো কেন আইনের আওতায় নেওয়া হচ্ছে না আমরা এর চরম নিন্দা জানাই। পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছেন সন্ত্রাসী হামলায় যারা আহত হয়েছেন তাদের সুস্থতার জন্য দোয়া প্রত্যাশা করছেন।