মোঃমশিউর রহমান : ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের মাদ্রাসাপাড়া মহল্লার ১২ বছরের শিশু নিবির হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এই ঘটনার সাথে জড়িত ছদ্মনাম আকাশ (১৪) কে গ্রেফতার করেছে ।
শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। প্রেস রিলিজে জানানো হয়, ঘটনার দিন চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আকাশ ও নিবির বাইসাইকেল যোগে ঔষধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার পথে তার বাড়ীর সামনে দেখতে পেয়ে তার সাথে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। তারা বাইসাইকেল যোগে ঔষধ ক্রয়ের উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁও বাসস্ট্যান্ডে যায়। ঔষধের মূল্য বেশি হওয়ায় তারা ঔষধ ক্রয় করতে না পেরে বাড়ীতে চলে আসে। আকাশ তার নিজ বাড়ীতে চলে যায়। পরে নিবির শেখ তার বাড়ীতে রুটি খেয়ে দুপুরে পূনরায় খেলাধুলার উদ্দেশ্যে আকাশ এর বাড়ীতে যায়। আকাশের বাড়ীর ভেতর টিনের একচালা রান্নাঘরে মারবেল নিয়ে খেলার একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ হয়। এর এক পর্যায় নিবির শেখকে মাটিতে ফেলে আকাশ বুকের উপর উঠে দুই হাত দিয়ে নিবির শেখের গলা চেপে ধরে। এতে শ্বাসরোধ হয়ে নিবির মারা যায়। পরে আকাশ নিবির শেখের মৃত্যুর বিষয়টি বুঝতে পারে। এক সময় নিবিরের মরদেহ গোপন করার উদ্দেশ্যে দুইটি প্লাস্টিকের বস্তায় ঢুকিয়ে বাড়ীর পিছনে গলিতে ফেলে রাখে এবং নিবির শেখের পরনে থাকা কালো, সাদা ও লাল রংয়ের একজোড়া স্যান্ডেল বাড়ীর প্রাচীরের উপর দিয়া পশ্চিম দিকের জঙ্গলে ফেলে দেয়। পরদিন ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় নিবিরের মরদেহ আকাশ নিবিরের বাড়ীর পিছনে পশ্চিমে গলিতে ফেলে রাখে। পরে পুলিশ দু’টি বস্তা, জুতা এবং ২০৯ (দুই শত নয়) পিস কাঁচের মার্বেল উদ্ধার করে। উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার নিবির বাসা থেকে বের হলে আর ফেরেনি। পরে নিখোঁজের দুই দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোরে নিবিরের মরদেহ বাসার পাশে গলিতে দেখতে পায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে।