মিলন হেমব্রম, রাজশাহী প্রতিনিধি :
রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার আবাসিক বাসা-বাড়ীতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্থাপন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটি ও এলাকাবাসী। ১৮ মে শনিবার সকাল ১০ টায় গোদাগাড়ী ডাইংপাড়া ফিরোজ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত মানববন্ধনে গোদাগাড়ী নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালাহ উদ্দিন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী নাগরিক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শান্ত কুমার মজুমদার, গোদাগাড়ী শিশু নিকেতনের সাবেক অধ্যক্ষ এস এম বরজাহান আলী পিন্টু, গোদাগাড়ী পৌরসভার প্যানেল মেয়র ও ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শহিদুল ইসলাম, সাবেক ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মামুনুর রশিদ, সুশীল সমাজের সদস্য মুশফিকুর রহমান।এছাড়াও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ সাধারণ মানুষগণ এই মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রি-পেইড মিটারে টাকা রিচার্জের জন্য প্রথমে নগদ বা বিকাশের মাধ্যমে মিটার কোম্পানিতে টাকা পাঠাতে হবে যার জন্য নগদ বা বিকাশে ক্যাশ আউট ফি প্রদান করতে হবে।টাকা পাঠানোর পরে নগদ বা বিকাশ কোম্পানি ২০ ডিজিট এর একটি টোকেন নম্বর দিবে যা আবার মিটারে তুলতে হবে, ২০ ডিজিটের টোকেন নম্বর হওয়ার ফলে নম্বর ভুলের সম্ভবনা থাকে।বাসায় যদি কোন বৃদ্ধ মানুষ থাকে তবে নম্বর দেওয়াটা বড় সমস্যা হতে পারে, নম্বর সঠিকভাবে না দিতে পারলে বিদ্যুৎ আসবে না।প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ, ভ্যাট এবং মিটার ভাড়া দিতে হবে যা বাধ্যতামূলক। প্রতি হাজারে ২০০ টাকা ডিমান্ড চার্জ, ৪০ টাকা ভ্যাট এবং ৬০ টাকা মিটার ভাড়া হিসেবে টাকা রিচার্জের সাথে সাথে কেটে নেওয়া হবে।আপনি ৫-৭ দিনের জন্য বাসার বাইরে কোথাও গেলেন এমন সময় আপনার বাসার মিটারের টাকা শেষ, বাসায় বিদ্যুৎ নাই এবং আপনার বাসার ফ্রিজে অনেক খাবার আছে তাহলে আপনার বাসায় সমস্ত খাবার নষ্ট হয়ে যাবে। মিটারের মিটার রিডার এখন গ্রাহক নিজেই। তারপরও কেন প্রতি মাসে ডিমান্ড চার্জ নেওয়া হয়।ডিজিটাল প্রি-পেইড মিটার আবাসিক (বাসা-বাড়ী), বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে স্থাপন-বাতিলের দাবি জানানো হয়।