নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফে দায়িত্ব রত কৃষি কর্মকর্তা জাকিরু ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার,সার বন্টনে অনিয়ম,অসমবন্টন, উৎকোচ বাণিজ্য, সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।
এনিয়ে খোদ সার ডিলারদের মাঝে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে।ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে কৃষকদের মাঝেও।
টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের মাঝে ন্যায্য মূল্যে সার বিক্রয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিসি আই সি সার ডিলারদের বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিকার চেয়ে করা লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়,বিগত ১১ ই জুলাই ২০২২ ইং টেকনাফ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে জাকিরুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন মাসে সরকারের বরাদ্ধ দেয়া সার ডিলারদের মাঝে বিলি বন্টনে সরকারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে সমবন্টন নীতি অনুসরণ না করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মোটাঅংকের উৎকোচের বিনিময়ে নিয়মবহির্ভূতভাবে ডিলারদের তার ইচ্ছামত সার বরাদ্ধ দিয়ে আসছে। যার কারণে সমবন্টন নীতি নাথাকায় যেসব এলাকায় সমলয়ে বুরো চাষাবাদও রবি শষ্য চাষাবাদে সময় মতো সার প্রয়োগ করতে না পারায় দারুনভাবে ফসল উৎপাদন কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। কৃষকরা তাদের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বঞ্চিত হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে।
টেকনাফ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট বিসি আইসির সার ডিলার রয়েছে১০ জন।সরকার লাইসেন্স প্রদানের সময় প্রতিটি বিসি আইসি সার ডিলারদের লাইসেন্সের অধীনে যদি সমান টাকা নেয় সে অনুযায়ী সার বিলি বন্টন করাহলে প্রত্যেক ডিলার প্রতিমাসে সমান সমান সার পাওয়ার কথা।
কিন্তু সমবন্টন নীতি উপেক্ষা করে কৃষিকর্মকর্তা মোটাঅংকের উৎকোচের বিনিময়ে সার বিলি বন্টন করায় সকল সার ডিলার প্রতিমাসে সমান সার বরাদ্ধ পায়না।
গত ০৪/০৭/২২ ইং টেকনাফের ১০ জন সার ডিলারের জন্য সরকার সার বরাদ্ধ দেয় ২১০ মে.টন,এই সার গুলো১০ ডিলার কে সমান বরাদ্ধ দিলেপ্রত্যেক ডিলার সার পেত ২০ সমস্ত দুই ভাগের ১ টন,কিন্তু কারসাজি করে কৃষি কর্মকর্তা বাহার ছড়াও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দুই ডিলার কে ২৫ টন করে সার বরাদ্ধ দেয়। অপরাপর ডিলারদের ২০ টন করে বরাদ্ধ দেয়ায় যা নিয়ে সম বন্টন নীতির বিপরীতে অবস্থান নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। একই ভাবে ১৫/০৮/২২ ইং টেকনাফ উপজেলার জন্য সার বরাদ্ধ হয় ২২৫ টন।ওই সার গুলো ও অসম বন্টনের কারণে সব ডিলার সমান সার বরাদ্ধ পায়নি। এছাড়াও ৩০/০৮/২২ইং,০৬/১০/২২ ইং,০৭/১১/২২ইং,০৮/১২/২২ইং ও ০২/০১/২০২৩ ইং হতে পুরো ২০২৩ ইং সালের প্রত্যেকটি মাসে কৃষি কর্মকর্তা সার বিলি বন্টন নীতিতে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে দ্বৈত নীতি অবলম্বন করায় পুরো বছর জুড়ে ডিলার রা সমান সার বরাদ্ধ পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে ঐ আবেদন গুলোতে।
তারা আরো বলেছেন এত অভিযোগ থাকা সত্বেও দুর্নীতিবাজ কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও মন্ত্রনালয়
যথাক্রমে জেলাপ্রশাসক,কক্সবাজার,কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তর,কক্সবাজার,উপজেলা নির্বাহীঅফিসার,টেকনাফ,সহ সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ে
মেসার্স হ্নীলা এজেন্সীও টেকনাফের হামিদব্রাদার্স কর্তৃক বেশ কয়েকটি অভিযোগ ফাইল আকারে জমাদিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযোগ গুলো আমলে না নেয়ায় কৃষি কর্মকর্তা জাকিরুল ইসলামের অনৈতিক কর্মকান্ড গাণিতিক হারে বেড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছে অভিযোগ কারীরা।
তার বিরুদ্ধে এত অভিযোগের পাহাড় গড়ালেও কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় তার এত খুঁটির জোর কোথায়? এমনটি প্রশ্ন ও তুলেছেন তারা।
এছাড়াও কৃষি কর্মকর্তা কর্তৃক দুর্নীতির আশ্রয়
গ্রহনও উৎকোচ নেয়ার মাধ্যমে চাষাবাদপূর্ণ এলাকা বাদ দিয়ে যে সমস্ত এলাকায় বেশীর ভাগ লবণ চাষ হয় ঐসব এলাকার ডিলারদের বেশী সার বরাদ্ধ দেয়ায় সার গুলো যথাযথ ব্যবহার নাহয়ে কালো বাজারের মাধ্যমে পাশ্ববর্তী রাষ্ট্র মিয়ানমারে পাচার হয়ে যাওয়ার আশংকা ও করছেন তারা।
এমনকি সার বরাদ্ধ দিতে গিয়ে টেকনাফের জনৈক সার ডিলার উক্ত কৃষিকর্মকর্তার অনৈতিক আবদারে রাজি নাহওয়ায় তার ডিলারশীপ বাতিলের জন্য আদালতে আবেদন করে।
পরে খবর পেয়ে ঐ ডিলার মহামান্য হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে রীট করে তার ডিলারশীপের লাইসেন্স পূর্নবহাল অবস্থায় ফিরে পায় বলে ও জানায়।
এই অবস্থা চলতে থাকলে টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসের কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়বে বলে ভুক্তভোগীরা মনে করেছেন।
এবিষয়ে জানার জন্য টেকনাফ উপজেলা কৃষি অফিসার জাকিরুল ইসলামের ব্যবহারিত ০১৭৫৪৯৭৪৪৯৮ নাম্বার মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।