1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
সংঘাতমুক্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিশ্বম্ভরপুর পিএফজির সংবাদ সম্মেলন - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শ্রীমঙ্গলে ঘরের ছাদে কমলা চাষ করে সফল ডা: সুহিত রঞ্জন নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেছারাবাদে এক কৃষক লোককে নিয়ে ব্যবসায়ির নানা অপপ্রচার বগুড়ায় হোটেল ম্যানেজার হত্যার আসামী আলিফ শেখ গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান নবগঠিত জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৪ ঠাকুরগাঁওয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভ গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১

সংঘাতমুক্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দাবিতে বিশ্বম্ভরপুর পিএফজির সংবাদ সম্মেলন

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোটারদের
সংঘাতমুক্ত নির্বাচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ বিশ্বম্ভরপুর পিএফজি।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বরা হয়, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রণীত আমাদের সংবিধানের ৭নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। কিন্তু জনগণ বা মালিকরা সরাসরি রাষ্ট্র, সরকার বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করে না। তারা রাষ্ট্রসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করে তাদের নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে। আর এই জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের পদ্ধতিই হচ্ছে নির্বাচন। এই পদ্ধতি বা বাছাই প্রক্রিয়া যদি সঠিক হয়, তবে প্রকৃত জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। আর বাছাই প্রক্রিয়া বা নির্বাচন যদি সঠিক না হয়, সে ক্ষেত্রে জনগণ তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে রাষ্ট্র বা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা করছে একথা বলার সুযোগ থাকে না। তাই, পরোক্ষভাবে হলেও রাষ্ট্রসহ এসকল প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় মালিকদের ভূমিকা নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে সুষ্ঠু ও সংঘাতমুক্ত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই।

তারা আরো বলেন, নাগরিকদের সক্রিয়তা এবং সুচিন্তিত সিদ্ধান্তের উপরই নির্ভর করে দেশের শান্তি-সম্প্রীতি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। নাগরিকরা জেনে-শুনে-বুঝে স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রতিনিধি নির্বাচিত করেই জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। কিন্তু নাগরিক হিসাবে যথেষ্ট সচেতন ও সক্রিয় না হওয়ায়, দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নব্বইয়ের দশকে দেশে গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার যে শুভ সূচনা হয়েছিল, তা নির্বিগ্নে এগুতে পারেনি এবং বিকাশ লাভ করেনি।

একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসাবে আমাদের জন্য যাতনার বিষয় এই যে, অনেক রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনের অর্ধশতাব্দী অতিবাহিত হলেও, আজও একটি অসাম্প্রদায়িক, সহিংসতামুক্ত, গণতান্ত্রিক ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের পথচলার অবসান হয়নি। আজও অবসান হয়নি ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও সাধারণ মানুষের বঞ্চনার। আর এই ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বঞ্চনার অবসান না হওয়ার অন্যতম কারণ দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন; যা সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদের উত্থানের ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে আমাদের। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহও দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের বাইরে নয়। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, মানবাধিকার সুরক্ষা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা আজও যেমন আমাদের কাছে স্বপ্ন: তেমনি ক্ষমতা, দায়িত্ব ও সম্পদে সমৃদ্ধ। সুব্যবস্থাপনাধীন, দুর্নীতিমুক্ত স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমানতাও আমাদের আকাঙ্ক্ষা। ঠিক এমনি একটি পরিস্থিতিতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, ঘষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন।

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ভোটারদের সামনে তেমনি একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী নির্বাচনের মাধ্যমে নিজ উপজেলাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে ভোটারা। দেশের মালিক হিসাবে সৎ ও যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচন প্রত্যেক নাগরিকের নৈতিক ও অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য। কিন্তু ভোটাররা যদি আসন্ন নির্বাচনে- অসৎ ও অযোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে তার অপকর্মের জন্য তারাও অনেকাংশে দায়ী থাকবেন; টাকা-পয়সা বা অন্য কোন সুবিধার বিনিময়ে যদি দুর্নীতিগ্রস্থ প্রার্থীকে ভোট দেয়, তবে তা হবে নিজের বিবেক বিক্রির সামিল।
একজন সচেতন নাগরিক কখনই ভোট বিক্রি করেন না। বরং সুবিবেচনার সাথে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন এবং সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থীর সপক্ষে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। আইনানুযায়ী প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা, প্রার্থী ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয়, সম্পদ, দায়-দেনা, ফৌজদারি মামলাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান বাধ্যতামূলক হওয়ায়, আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতাকারী প্রার্থীগণ এ সকল তথ্য প্রদান করেছেন।
উপজেলাবাসীর প্রতি বিশ্বম্ভরপুর পিএফজির আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, দেশের মালিক হিসাবে সজাগ থাকুন, যাতে মিথ্যাচার বা সত্য গোপনের মাধ্যমে আপনার চোখে ধুলো দিয়ে কোনো অসৎ ও অযোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত হতে না পারেন।

নাগরিক হিসেবে আপনার সঠিক সিদ্ধান্ত ও সক্রিয় ভূমিকার মাধ্যমেই নির্বাচিত হতে পারেন সৎ, যোগ্য ও জনকল্যাণে নিবেদিত প্রার্থী। তাই ভোটারদের প্রতি আহ্বান, নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকে সুচিন্তিতভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগের মধ্য দিয়ে সুযোগ্য নেতৃত্বের হাতে আপনার উপজেলা পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করুন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সর্বদলীয় সম্প্রীতি উদ্যোগ বিশ্বম্ভরপুর পিএফজির পিস এ্যাম্বাসেডর আওয়ামিলীগ প্রতিনিধি মহরম আলী, বিএনপি প্রতিনিধি ফুল মিয়া, জাতীয় পার্টি প্রতিনিধি শিব্বির আহম্মেদ,জেলা কোর্ডিনেটর আশিশ রহমান, উপজেলা পিএফজির কোর্ডিনেটর ফুলবাবু, হাঙ্গার প্রজেক্টের মোজাম্মেল হক, কুদরত পাশা,
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন কুমার বর্মন,সালেহ আহম্মেদ, চিত্তরঞ্জন দাশ,নুরুল ইসলাম,মিজানুল রহমান, সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব মো:শুকুর আলী প্রমুখ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি