এম আর সজিব সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:
আগামী ৫ই জুন চতুর্থ ধাপে সুনামগঞ্জের তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের পর থেকে নির্বাচনী সভা সমাবেশ ও প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রেখেছেন।
রবিবার দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বীরগাওঁ ইউনিয়নের টাইলা গ্রামবাসির আয়োজনে টাইলা বাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক এড. বুরহান উদ্দিনের দোলনের সমর্থনে টাইলা বাজারে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
টাইলা গ্রামের প্রবীন মুরুব্বী মোঃ আব্দুছ মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ তোফায়ল আহমদের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. বুরহান উদ্দিন দোলন।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি ওবায়দুর রহমান কুবাদ,সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস,কমরুছ মিয়া,ইউপি সদস্য মোজাহিদ আলম,ইউপি সদস্য মোঃ মছরু মিয়া প্রমুখ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাইলা গ্রামের যথীন্দ্র মোহন দাস,বেনু দাস,রনধীন দাস,মোঃ মণির হোসেন,মোস্তফা মিয়া,দুলু মিয়া,আব্দুল মতিন,মোঃ মরু মিয়া,শোয়েব মিয়া,সুধারঞ্জন দাস, ঠাকুরভোগ গ্রামের জালাল মিয়া,অনুকুল চন্দ্র দাস,সলীল দাস,অসিত দাস প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. বুরহান উদ্দিন দোলন বলেছেন,শান্তিগঞ্জে সকল সেক্টরে উন্নয়নের নামে হাবিল কাবিলরা কমিশন বাণিজ্যে করে সব টাকা গিলে খেয়ে ফেলেছে,হাওর বান্দের কামকাজ আইছে কৃষকদের পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারী বানাইয়া তারা চেক নেয়গি আগেই। এই হাবিল কাবিল চেক দিয়ে টাকা উত্তোলন করে প্রতিটি পিআইসি কমিটির সভাপতি ও সেক্রেটারীকে বলে আমাদের ভাগ দিয়ে যা। এভাবে প্রতিটি ইউপির মেম্বারদেরকে অন্যান্য প্রকল্পে পঞ্চাশ হাজার টাকার কাম দিয়ে হাবিল কাবিল পনের হাজার টাকা কমিশন নিয়ে নেন এটার মূল স্বাক্ষী আমি বুরহান উদ্দিন দোলন নিজেই বলে দাবী করেন।
সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী আপাদমস্তক একজন ভাল মানুষ,উনার সাথে আমার ভাল সম্পর্ক ছিল আমি শান্তিগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হিসেবে সাবেক মন্ত্রীর বাসায় গিয়ে দেখি সকল ইউপির মেম্বারগণ এখানে জড়ো হয়েছেন তারা হাবিল কাবিলকে খোজছেন। কেন জানতে চাইলে মেম্বারগণ বলেন এই হাবিল কাবিল ৫০ হাজার টাকার কাম দিয়ে আমাদের নিকট হতে পনের হাজার টাকা করে কমিশন বানিজ্য করেছে বলে তার নিকট ইউপি সদস্যগণ এমন অভিযোগ করেন।
দোলন আরো বলেন এই হাবিল কাবিলে গত দশবছরে অবৈধ পন্থায় কিভাবে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন এমন প্রশ্ন ও রাখেন তার নির্বাচনী সভায় উপস্থিত জনসাধারনের উদ্দেশ্যে। তিনি আগামী ৫ই জুনের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলমত নির্বিশেষে তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই,আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শের একজন কর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। তিনি বিগত সময়ে ভাসানপানির আন্দোলন সংগ্রাম করে অনেক মিথ্যা মামলার আসামী হয়েছিলেন উল্লেখ করে বলেন কোন মামলাই আমাকে আটকে রাখতে পারেনি,কাজেই রাজনীতি করি ভোগের জন্য নয় ত্যাগের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি বলেই এই অবহেলিত শান্তিগঞ্জের আপামর জনগনের জন্য কিছু একটা করতেই এবার নিয়ে তিনবার চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছি। তিনি বলেন এই রজনীগঞ্জ(টাইলা-শান্তিগঞ্জ সড়কটি এতবছরে ও নির্মাণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন আমি নির্বাচিত হলে এই্ রাস্তাটি করে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের কিছুটা হলে ও পরিবর্তন করতে চাই। এই রাস্তাটি নির্মান করা হলে এই অঞ্চলে ছোটখাটো কল কারখানা গড়ে উঠত এবং এখানকার বিপুল সংখ্যক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হতো বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে উপজেলা পরিষদে কোন ঘুষের কারবার চলবে না বেকার যুবকদের বিদেশে পাঠাতে, কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে লোনের ব্যবস্থা করে দেযার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।