আদুল মজিদ (স্টাফ রিপোর্টার)সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়নের গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের বিরুদ্ধে ৪ টি পদে জনবল নিয়োগে অনিয়ম ও ব্যাপক অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের স্বার্থে প্রতিকার চেয়ে গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার গোয়ালবাথান গ্ৰামের অন্তত ২০ জন বিদ্যাণুরাগী ব্যক্তি ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। সম্প্রতি গোপনে তারা ঐ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
গত ২৩ মে (বৃহস্পতিবার) তারিখের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের যোগসাজশে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিদ্যালয়ের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল অফিস সহকারী কাম হিসাব রক্ষক পদে মোঃ মাসুদ রানা, অফিস সহায়ক পদে মোঃ জুয়েল রানা, আয়া পদে সোনিয়া খাতুন এবং নৈশপ্রহরী পদে আলমগীর হোসেন। ব্যাপক অর্থের বিনিময়ে গোপনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
অভিযোগ পত্রে ১নং ক্রমিকে স্বাক্ষরকৃত চরাঞ্চলের গোয়ালবাথান গ্ৰামের লুৎফর রহমান জানান, প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত স্কুলের ভালো মন্দ সব কিছুর সাথে গ্ৰামবাসী সবসময় যুক্ত আছে, নজরুল এবং সাত্তার মোটা অংকের টাকার লোভে কাউকে কিছু না জানিয়ে গোপনে নজরুল তার চাচাত ভাই জুয়েল রানাকে অফিস সহায়ক পদে এবং ভাতিজা আলমগীরকে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগ দিয়েছে।
নিশ্চিন্তপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গোয়ালবাথান গ্ৰামের বাসিন্দা আব্দুল মান্নান মল্লিক জানান, নজরুল সবার অগোচরে এই কাজ করেছে, নিয়োগপ্রাপ্তদের প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত দেখে জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারি তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। একজন অনৈতিক শিক্ষক ভবিষ্যতের জন্য কল্যাণকর নয়, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে কাকলী ছন্দা প্রধান শিক্ষকের চাচাত বোন, অর্থ বাণিজ্য এবং স্বজনপ্রীতি প্রতিষ্ঠানের জন্য শুভকর নয়।
অভিযুক্ত গোয়ালবাথান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, প্রচলিত বিধি মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, যাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের একজন ছাড়া বাকি সবাই প্রতিষ্ঠানে জমি দাতা পরিবারের সদস্য, বিদ্যালয়ের স্বার্থে তাদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আসতে বলা হয়েছে, কোনো অসংগতি থাকলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।