মোঃনাজমুল মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘূর্ণিঝড় রোমাল মোকাবেলায় রাত জেগে কাজ করছে ‘রেড ক্রিসেন্ট’ ও ‘সিপিপি’এর সদস্যরা।জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন ঝুকিপূর্ণ এলাকায় মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করছেন তারা।ঘূর্ণিঝড়ের বিপদজনক পরিস্থিতিতে জীবন রক্ষার জন্য নিকটবর্তী সাইক্লোন সেল্টারে আশ্রয় গ্রহণের প্রস্তুতির জন্য সকলকে সচেতন করতে মোরেলগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ,কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ রেড ক্রিসেন্ট’এবং’সিপিপি’ এর প্রায় ১২০০ জন সদস্য পৌর সদরসহ ৬ টি ইউনিয়নে ঝুকিপূর্ণ স্পটে প্রস্তুত রয়েছেন।এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমালের গতিপ্রকৃতি ও ধরন পর্যবেক্ষণ করে, উপকূলীয় মানুষকে সচেতন করতে কোস্টগার্ডের পাশাপাশি মাইকিং করেছে ‘রেড ক্রিসেন্ট’ ও ‘সিপিপি’ সদস্যরা।শনিবার সন্ধ্যা থেকেই তাদের জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করতে দেখা যায়,সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মোরেলগঞ্জ পৌর সদরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে মাইকিং সহ জনসচেতনাতায় কাজ করছে একদল তরুন সেচ্ছাসেবক, তারা হলেন, উপজেলার সিপিপি টিম লিডার খান আব্দুল্লাহ নূর,উপজেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সহকারী দলনেতা মুস্তাফিজুর রহমান,বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট মোরেলগঞ্জ উপজেলার ‘ডিপার্টমেন্টাল চিফ, আইসিটি মিডিয়া এ্যান্ড কমিউনিকেশন’মুসাদ্দিক বিল্লাহ তামিম,’সিপিপি ‘সদস্য হৃদয় আহম্মেদ জয়,রাহাতুল ইসলাম সহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি তরুন সেচ্ছাসেবক দল।শনিবার( ২৫ মে)সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা গভীর নিম্নচাপটি ‘ঘূর্ণিঝড় রেমাল’-এ পরিণত হলে, আবহাওয়ার পূর্বাভাসে মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত এবং চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও টেকনাফে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। পূর্বাভাসে আরও জানানো হয় ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে বাংলাদেশের পটুয়াখালীর মাঝামাঝি যেকোনো জায়গা দিয়ে উপকূল অতিক্রম করবে। তবে এর সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট অঞ্চল।এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সমগ্র বাগেরহাট জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক।প্রতিটি উপজেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে।জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম তারেক সুলতান জানান,উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।