স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে সকাল গড়িয়ে দুপুর হলেও হাঁপানীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরজা খুলেনি কোন শিক্ষক । অসহায়ের মতো শিক্ষকদের আসার অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় এই বিদ্যালয়ের বারান্দায় ছাত্র-ছাত্রীদের বসে থাকতে দেখা যায়। এসময় উপজেলায় কর্মরত শফিকুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক নিজের ফেইসবুকে লাইভ করলে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে এলাকাজুড়ে। লাইভে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বলতে দেখা যায় এই সাংবাদিককে। ছাত্র-ছাত্রীরা লাইভে এসে জানায়, শুধু আজকেই এমনটি হয়নি। শিক্ষকরা প্রতিদিন সকাল ১১টার আগে বিদ্যালয়ে আসেননা। আর দুপুর ২টায় বিদ্যালয় ছুটি দিয়ে চলে যান তারা। আজকে প্রধান শিক্ষক না থাকায় তারা (শিক্ষকরা) কেউয়েই আসেননি এখন পর্যন্ত।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হাঁপানীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাধব চন্দ্র সরকার বলেন, আমি আজকে আগামী পাঁচ দিনের জন্য উপজেলা সদরে শিক্ষকদের একিভূত ট্রেনিংয়ে আছি। গত কাল আমার ট্রেনিংয়ের বিষয়টি আমার বিদ্যালয়ের বাকি তিন সহকারী শিক্ষককে অবগত করেছি। আমার পরিবর্তে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পালন করবে সহকারী শিক্ষক বিপ্লব মিয়া। তারা তিন জনেরই আজকে বিদ্যালয়ে থাকার কথা। তারা আমি না থাকলেই বিদ্যালয়ে আসতে চায়না। আমি বিদ্যালয়ে না থাকলে এমন অভিযোগ হর হামেশাই পাই।
সহকারী শিক্ষক বিপ্লব মিয়ার কালবেলাকে জানায়, আমি অসুস্থ থাকায় আজকে বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি। এবিষয়ে জানতে চেয়ে সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদকে কালবেলার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কল দিলে তিনি সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ে গেলে সাংবাদিককে দেখে নেবেন। ধারেকাছে পেলে সাংবাদিককে মারারও হুমকি দেন।
এবিষয়ে জানতে চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল আওয়াল বলেন, হাঁপানীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী তিন শিক্ষক বিদ্যালয়ে সঠিক সময়ে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের শোকজ করা হবে। সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে থাকলে তার কঠিন বিচার করা হবে।