মিজানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধিঃ- বগুড়ার শিবগঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তালা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ বিপুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৩ মে বৃহস্পতিবার শিবগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে এ মামলাটি দায়ের করে। মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন মোশারফ হোসেন, মাসুম, বিউটী বেগম ও এ.এম রায়হান।
মামলাসূত্রে জানা যায়, শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এক ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হলে। সে তার ব্যক্তিগত কাজে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন । একই সময়ে শিবগঞ্জ থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, আব্দুল ওহাব জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের একটি সার্টিফিকেট মামলার বিষয়ে তথ্য নিয়ে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয় থেকে বের হয়ে আসার সময় ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী বিপুল কৌশলে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে " শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের কান্ড: ভোট প্রতিহত নয় সহযোগিতা তাদের মূল লক্ষ্য ভিডিওতে আওয়ামী লীগের আব্দুল বাকীর বাতিল হওয়া প্রার্থীতা ফিরাতে ঘাম ঝরাচ্ছেন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল ওহাব” লিখে সেলিম নামের এক ব্যক্তি ভিডিও টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করে। ওই পোস্টটি মোশাররফ হোসেন, মাসুম ও বিউটি বেগম শেয়ার করে এবং এম এ রায়হান ওই পোস্টে “ মীর জাফর হলো বড় দালাল এতো বাচ্চা দালাল, ২ লক্ষ টাকা খাওয়া শেষ, এখন আরও ২/৪ লক্ষ টাকা লেনদেনের শুদ্ধি পাঁয়তারা চলছে কমেন্ট করেন।
এব্যাপারে মামলার বাদী এ্যাড, আব্দুল ওহাব বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সার্টিফিকেট মামলার খোঁজখবর নিতে গেলে কৌশলে প্রতিপক্ষরা ভিডিও ধারণ করেন এবং সেলিম নামের ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার ভিডিও ফুটেজ পোস্ট করেছে এবং এম এ রায়হান তাতে কমেন্ট করেছে ও অন্যান্যরা শেয়ার করেছে। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে উক্তরুপ আক্রমণাত্মক , মিথ্যা, মানহানিকর তথ্য প্রচার করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছি।
ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহনেওয়াজ বিপুলের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাকে হে প্রতিপন্ন করার জন্য এই মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। জনগণ আমার পাশে আছে জয় আমার সুনিশ্চিত।