ঠাকুরগাঁও হতে মোঃ মশিউর রহমান : ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলায় একটি আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুন (৪৮)’র মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘন্টা না যেতেই ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করে। ২৮ মে মঙ্গলবার ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়। ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের আয়োজনে প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হিসাব ও অর্থ) ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত মোছা: লিজা বেগম, সিনিয়র এএসপি মো: ফারুক, পরিদর্শক নিরস্ত্র (ডিআইও-১), ডিএসবি (এএসপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মো: আব্দুল মতিন প্রধান, ঠাকুরগাঁও জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানান, ২৭ মে সোমবার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের কানাড়ী গ্রামের একটি আম বাগান থেকে রেজিয়া খাতুনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে জুলফিকার আলী রুবেল (২৮) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২৪ ঘন্টা না পেরুতেই পুলিশ এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অপরাধে পীরগঞ্জ উপজেলার কানাড়ী গ্রামের মৃত তমিজ উদ্দীনের ছেলে মো: দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও একই গ্রামের মৃত ধনীবুল্লাহ এর ছেলে মো: এনতাজুল (৪৪) কে গ্রেফতার করে। রেজিয়া বেগমকে তারা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কু-প্রস্তাব দিলে তা প্রত্যাখ্যান হলে তার মুখ চেপে ধরে ও গলায় উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় বলে গ্রেফতারকৃত ২ জন স্বীকার করেন। আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃতদের জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার।