মোস্তাকিম রহমান, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
ঘুর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় কলা ও পানসহ বিভিন্ন শস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ে
সবচেয়ে বেশী ক্ষতির শিকার হয়েছেন কলাচাষীরা।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সরেজমিনে দেখা যায়, পলাশবাড়ী পৌর শহরের আন্দুয়া ও বরিশাল ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় সকল জমির গাছ মাটিতে পড়ে আছে। কলা ক্ষেতের পাশে দাঁড়িয়ে চাষীরা মাথায় হাত দিয়ে নির্বাক নয়নে চেয়ে আছেন।
কলা চাষীরা জানান, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল, রাতে টানা দমকা বাতাস ও ঝড়ে গাছগুলো মাটিতে পড়ে গেছে। একই অবস্থা উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের কলা চাষী ও পানচাষীদের।
উপজেলার বরিশাল ইউনিয়নের মোমিন সরকার
বলেন, বরিশাল গ্রামে একটি জমিতে ২শ টি ও অপর ৪ বিঘা জমিতে তিনি ৬শ টি কলা গাছ ছিল। প্রতিটি গাছের বয়স ৯ মাস পেরিয়েছে। প্রত্যেক গাছে কলা ধরেছে। আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে কলা বিক্রি হতো। এরমধ্যে গত রাতে বাগানের সব গাছ তীব্র ঝড়-বাতাসে ভেঙে পড়েছে।
তিনি আরো বলেন, দুইটি জমি কলা চাষ করতে এ পর্যন্ত তার ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে তিনি কলা বিক্রি করে ৬ লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু এক রাতের ঝড়ে তিনি পথে বসে গেছেন।
হোসেনপুর ইউনিয়নের পানচাষী শাহারুল ইসলাম জানান, বাতাসে আমার পানের বরজ উড়ে নিয়ে গেছে। এতে তার অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
পৌর শহরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের কলা চাষী সিরাজুল ইসলাম জানান, তার ১৫শ কলা গাছ মাটিতে পড়ে গেছে। এতে তার ছয় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালায় প্রভাবে কৃষকদের কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণ কাজ চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ জানান, রেমালের প্রভাবে যেসব কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তাদের তালিকা করে আর্থিক সহযোগিতার চেষ্টা করা হবে।