তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সংবাদ প্রকাশের জেরে সাংবাদিককে দলবল নিয়ে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে নীলফামারীর সৈয়দপুরে মানববন্ধন হয়েছে। বুধবার ২৯ মে দুপুরে সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
গত শুক্রবার বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা রিয়াদ আরফান রানার বিজয়ের নেপথ্যে বিশ্লেষণধর্মী সংবাদ প্রকাশ হয় দৈনিক সমকালে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে গত শনিবার রাতে প্রেস ক্লাবের সামনে তিনি দৈনিক সমকালের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি আমিরুল হককে হুমকি প্রদান করেন রানা।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন- সাংবাদিক নির্যাতন কমিটির আহবায়ক মোতালেব হোসেন হক, সদস্য সচিব নুর মোহাম্মদ ওয়ালিউর রহমান রতন, সাংবাদিক সাব্বির আহম্মেদ সাবের, জাকির হোসেন, সাদিকুল ইসলাম সাদিক, মাসুদুর রহমান লেলিন, জয়নাল আবেদীন হিরো, শাহাজাহান আলী মনন, আমিরুল হক, শাহাজাহান সরকার প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, রিয়াদ আরফান সরকার রানা প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে মাধ্যমিক ভর্তি হন ভারতের দার্জিলিংয়ে। এরপর আমেরিকা থেকে উচ্চতর ডিগ্রী নিয়ে সেখানে কর্মজীবন শুরু করেন। এর আগে তিনি কোনো রাজনৈতিক সংগঠন কিংবা সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এমন কী দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় স্থানীয়রা তাকে আগে তেমন ভাবে চেনেতেনও না। সাম্প্রতি সাংগঠনিক জেলা বিএনপির পূনাঙ্গ কমিটির হলে রিয়াদ আরফান সরকার রানাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় দল থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়। তার বাবা আমজাদ হোসেন সরকার ছিলেন জনপ্রিয় রাজনীতিক। তিনি সৈয়দপুর উপজেলার চেয়ারম্যান এবং পৌরসভার মেয়র ও জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। এ কারণে সহানুভূতির ভোটে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। এ কথা লেখায় রুষ্ট হন রানা।
বক্তারা আরো বলেন, সংবাদ পত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদ যদি কারো বিপক্ষে যায় বা কেউ ক্ষুব্ধ হন তাহলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট পত্রিকায় নিয়মতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ জানাতে পারেন বা সংবাদ কর্মীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। কিন্তু নব নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান তা না করে সন্ত্রাসী কায়দায় দলবলসহ সাংবাদিককে হুমকি দিয়েছেন। একজন জনপ্রতিনিধির কাছে এমন আচরণ কোনভাবেই মেনে নেয়ার মত নয়। তাই রানাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তারা। অন্যথায় এর প্রতিবাদে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।