1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
দিনমজুর ইয়াকুব এসএসসিতে জিপিএ-৫,পাওয়ার পরে ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায় - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
ম্যাটসের নাম পরিবর্তন করে ‘মেডিকেল ইন্সটিটিউট, নাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অভিযানে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার-১, রেঞ্জ ডিআইজির প্রেস ব্রিফিং মোরেলগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক কমিটি গঠন সভাপতি শহিদুল, সম্পাদক শামীম চালতাবেড়িয়া ইউনাইটেড ক্লাবের স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির শাহজাদপুরে বিএনপি’র কান্ডারী ও অভিভাবক ড. এম এ মুহিতকে সামনে রেখে কর্মী হয়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের সেবা করতে চাই নাসিরনগরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু দুর্ভিক্ষে মানুষ কচু ঘেচু আটার ঝাউ তৈরী করে খেয়েছেঃ আবু বক্কার রঞ্জু বান্দরবান সুয়ালক ইউনিয়নের তুলাতলী এলাকায় আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের দোসর কতৃক চাঁদাদাবী ও কাজে বাঁধাদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন শিবচরে হাইটেক পার্ক প্রকল্প স্থানান্তরের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত প্রকাশিত হচ্ছে ভারত বাংলার যৌথ কাব্যগ্রন্থ বন্দি শালার পাখি

দিনমজুর ইয়াকুব এসএসসিতে জিপিএ-৫,পাওয়ার পরে ভবিষ্যৎ নিয়ে রয়েছে দুশ্চিন্তায়

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: রবিবার, ২ জুন, ২০২৪
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে

 

তপন দাস

নীলফামারী প্রতিনিধি

বাবা মায়ের সাথে দিনমজুরের কাজ করে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ইয়াকুব আলী। ভালো রেজাল্ট অর্জন করেও পড়াশোনার খরচ নিয়ে অনিশ্চয়তা ও হতাশায় রয়েছে ইয়াকুব। ছেলের ভবিষ্যৎ শিক্ষার খরচ কীভাবে জোগাবেন, এ নিয়ে দুশ্চিন্তার ভাঁজ তার মা-বাবার কপালে।

ইয়াকুব আলী নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের উত্তর খাটুরিয়ার ভূমিহীন দিনমুজুর হায়দার আলীর ছেলে। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তৃতীয় ইয়াকুব। এবারে সে এসএসসি পরিক্ষায় খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ অর্জন করেছে।

এলাকাবাসী জানান, ছোটবেলা থেকে বাবার-মায়ের সাথে দিনমুজুরের কাজ করে পরাশোনা করেছে ইয়াকুব। নিজে থেকে অদম্য উৎসাহ নিয়ে সে পড়াশোনা করেছে। তার এমন সফলতায় এলাকাবাসী আনন্দিত, আর্থিক সহযোগীতা পেলে নিশ্চিন্তে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবেন বলে মনে করেন তারা।

খাটুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক আ.ফ.ম জাকারিয়া বলেন, অনেকের আর্থিক সহযোগীতায় পড়াশোনার খরচ চালিয়ে এসেছেন ইয়াকুব। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান জানান এই শিক্ষক।

ইয়াকুবের বাবা হায়দার আলী বলেন, নিজস্ব বসত ভিটে না থাকা সত্ত্বেও কষ্ট করে ছেলে অন্যের জমিতে বাড়ি করে এ পর্যন্ত পড়িয়েছে। ছেলের পড়াশোনার চড়ম আগ্রহ থাকলেও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারনে কলেজে পড়ানোর সামর্থ্য নেই বলে জানান ইয়াকুবের বাবা।

এ ব্যাপারে ইয়াকুব আলী বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকে বাবা মায়ের সাথে দিনমুজুরের কাজ করেন ইয়াকুব। হারভাঙ্গা পরিশ্রম করার পরেও বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়েছেন, তার স্বপ্ন একজন প্রকৌশলী হওয়া। পারিবারিকভাবে একেবারে অস্বচ্ছল হওয়ায় প্রকৌশলী হবার স্বপ্নপূরণ নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে ইয়াকুব।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, আর্থিক সমস্যার কারনে যেনো কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা যেনো বাধাগ্রস্ত না হয়। সেজন্য উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে আর্থিকভাবে সহযোগীতার আশ্বাস দেন তিনি।

ইয়াকুবের সাথে যোগাযোগ ০১৩০৮১৮৬৬১১

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি