মোঃ মিনারুল ইসলাম: স্টাফ রিপোর্টার:
বগুড়া শহরের বনানী এলাকার শুভেচ্ছা নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সেনা সদস্য আজিজুল হককে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার (২ জুন) বেলা ১১টার দিকে ওই হোটেলের ৩০১ নম্বর কক্ষের বাথরুম ও খাটের নিচ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে খাটের নিচ থেকে শিশুটির বস্তাভর্তি মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুর পৌনে ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিশুটির মাথা উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
নিহতরা হলেন বাড়ি বগুড়া জেলার ধুনট উপজেলার কালেরপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী আশামনি ও তার এক বছর বয়সি ছেলে আব্দুল্লাহ্ আল রাফি। সেনা সদস্য আজিজুল হক চট্টগ্রাম সেনানিবাসে কর্মরত।
শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত আশামনির ভাই শহরের নারুলী এলাকার বাসিন্দা মেহেদি হাসান সনি জানান, আজিজুল হকের সঙ্গে প্রায় তিন বছর আগে তার বোনের বিয়ে হয়। কিছুদিন আগে দুই মাসের ছুটিতে বগুড়ায় আসে সে। এরপর গত বৃহস্পতিবার শহরের নারুলি এলাকায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসে আজিজুল। পরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তার বোন ও ভাগ্নেকে নিয়ে শনিবার শ্বশুর বাড়ি থেকে বেড় হয় আজিজুল।
শুভেচ্ছা হোটেলের ব্যবস্থাপক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার সন্ধ্যার পর আজিজুল হক তার স্ত্রী ও এক বছর বয়সি সন্তানকে নিয়ে দোতলার একটি কক্ষে ওঠেন। এরপর রাত ১১টার দিকে তিনি হোটেল থেকে বের হয়ে যান।
তিনি বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে আজিজুল হক হোটেলে কক্ষের ভাড়া পরিশোধ করতে আসেন। কিন্তু তখন তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান না থাকায় আমাদের সন্দেহ হয়। এরপর আমরা তাকে আটক করে পুলিশে খবর দিই। পরে পুলিশ এসে ওই কক্ষের ভেতরে আজিজুল হকের স্ত্রীর গলকাটা বিবস্ত্র মরদেহ এবং খাটের নিচে বস্তাবন্দি মাথাবিহীন সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে।
ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজুল হক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তার দাবি- সন্তানের মাথা পাশের করতোয়া নদীকে ফেলে দিয়েছে। নিহত শিশুর মাথা খোঁজা হচ্ছে। পারিবারিক কলহের কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।