আব্দুল মজিদ(স্টাফ রিপোর্টার) প্রতিনিধিঃ কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী পূর্ব পাড়া আশ্রায়ন কেন্দ্রের ২৮ নং ঘর সোনামুখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে নূরুল ইসলাম (৬০) নামে বরাদ্দ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তিনি এখানে পরিবার নিয়ে না থাকলেও হর হামেশাই লোকজনের উপস্থিতি টের পান আশ্রায়নের বাসিন্দারা। গত শনিবার পহেলা জুন সকাল দশটায় অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত গোপালপুর গ্রামের মৃত বিক্রম আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার (৪৫) এবং একই গ্ৰামের আঃ মজিদের স্ত্রী কুলসুমকে (৩৫) হাতেনাতে ধরে ফেলে আশেপাশের লোকজন। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান শাজাহান আলী ও তার লোকজন এসে ভয়ভীতি এবং বিচারের কথা বলে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। ওই সময় কাজিপুর থানার এসআই এনামুল সিভিল ড্রেসে সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী মুন্নাফ, দুদুমিয়া, আবু তাহের, রুবেল ইসলাম, আল মাহমুদ জানান, নূরুল ইসলাম একজন অবস্থাশালী লোক, গুচ্ছ গ্ৰামে ঘর পাওয়ার নিয়মের মধ্যে আসেনা, এখানে সে থাকেনা। সেই ঘরে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাব বিস্তার করে যা তা করে আসছে। আমরা যারা এখানে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করি, সবাই ভূমিহীন ও দরিদ্র পরিবার। এখানকার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার চরম পর্যায়ে যাওয়ায় ওই দিন তাদেরকে ধরে ফেলি এবং ঘরে আটকে রেখে থানা ও চেয়ারম্যান শাহজাহান আলীকে জানাই।
বিকেলের দিকে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন এসে আমাদেরকে গালমন্দ করে শাসিয়ে ছেলে এবং মেয়েকে নিয়ে যায়। ইতোপূর্বে দুলালী নামে এক মেয়ের ঘরে সোনামুখীর তারিকুল নামের পশু চিকিৎসক ধরা পড়েছিল, চেয়ারম্যান বিচার করার কথা বলে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়, আজও কোন বিচার পাই নাই।
এই বিষয়ে সোনামুখী ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযুক্ত দুই জনকে আমার হেফাজতে নিয়ে আসি, আগামী দুই একদিনের মধ্যেই জনসম্মুখে বিচার করা হবে।ঘর মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, সাত্তার ঘটনার আগের দিন আমার কাছ থেকে চাবি নেয়, ঘটনার খবর পেয়ে এসে দেখি ঘরে কুলসুম নামের মহিলাসহ সাত্তারকে আটকে রেখেছে।
আশ্রায়নের বাসিন্দা রুবেল জানান, থানায় বিষয়টি নিয়ে ফোন দিলে পরবর্তীতে এসআই এনামুল আমাকে ফোন দিয়ে ভয়ভীতি দেখায় এবং বিকেলে চেয়ারম্যানের সাথে উপস্থিত ছিল। অভিযোগ অস্বীকার করে এসআই এনামুল বলেন, রুবেলকে আমি ফোন দেই নাই এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলাম অনেক পরে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ ফোন করেছিল একজন ওখান থেকে, লোক পাঠিয়ে ছিলাম। ঘটনা চেয়ারম্যান সাহেব মিমাংসার দায়িত্ব নেয়ায় আমরা আর কিছু করিনি ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত হয়েছি, আশ্রায়ন কেন্দ্র মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটি মহৎ প্রকল্প। এখানে কোন প্রকার অসামাজিক কার্যকলাপ বরদাস্ত করা হবে না।