আজ ৭ই জুন বৃহস্পতিবার, পশ্চিম মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল, হেরে যাওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করলেন।,
তিনি বলেন পশ্চিম মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির শক্ত ঘাঁটি ছিল, অন্তত ২০১৯ সালে তৎকালীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষ জয়লাভ করে তা প্রমাণ করে দিয়েছিলেন।
এই লোকসভা কেন্দ্রের মেদিনীপুর বিধানসভা ও খরগপুর বিধানসভা সব মিলিয়ে ৮৭ হাজার ব্যবধান ছিল মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র।
তাকে গুছিয়ে ২৯ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়া।
নিজেদের শক্ত ঘাঁটিতে বিপুল হাড়ের পর, টানা দুদিন ধরে পর্যালোচনা করে বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল, অগ্নিমিত্রা ফলের উপলব্ধি, লক্ষ্মীর ভান্ডার আমাদের হাড়ের পিছনে বড় কারণ ,
এরপর বলেন, নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পরেই, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বহু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবী বিজেপি র, বিভিন্ন হুমকি ও আক্রান্ত হয়ে অন্তত ৩৫ জন মেদিনীপুর শহরে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে দাবী করেছেন অগ্নিমিত্রা পল,
বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ, সেই সমস্ত লোকজনের সাথে কথা বলার জন্য হাজির হয়েছিলেন অগ্নিমিত্রা জেলা কার্যালয়,
জেলা কার্যালয়ে সকলের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দেন, নিরাপত্তার ও বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার, এই প্রসঙ্গে অগ্নিমিত্রা পল বলেন , আমার খুব কাছের বন্ধু জয়ী হয়েছেন 2021 এ , তিনি যখন জয়ী হয়েছিলেন, আবেদন ছিল এই ধরনের আক্রমণ যাতে না হয়, কিন্তু রক্ষা হয়নি। এবার পরাজিত হওয়ার পর খরগোপুরে সংবাদ মাধ্যম দিয়ে আবেদন করেছিলাম কেউ যাতে আক্রান্ত না হয়। কিন্তু কোন লাভ হয়নি। এবার আমাদের কর্মীদের রক্ষা অবশ্যই করবো, সেই সঙ্গে দুদিন ধরে বিশ্লেষণ করেছেন।
তারপর তিনি জানান আমাদের পরাজয়ের অন্যতম কারণ লক্ষ্মীর ভান্ডার, জানিনা বাংলার মা বোনেদের কাছে, তাদের পরিবারের আত্মসম্মান, সন্দেশখালি নারী নির্যাতন থেকে লক্ষী মান্ডার এত প্রিয় কিভাবে হলো।যাইহোক সেটা হয়েছে,
তবে মেদিনীপুরে একজন ভালো সংসদ কে হারালো ,ভেবেছিলাম আমি জয়ী হয়ে এমন ধাঁচের একটা হাসপাতাল বানাবো, এখানে কিছু ইন্ডাস্ট্রি আনবো। কিন্তু যেহেতু সংসদ হতে পারলাম না , সেটা নিয়ে আমার ক্ষমতা ততখানি নাই। তবে আক্রান্তদের পাশে আমি আছি।
রিপোর্টার , সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা