স্টাফ রিপোর্টার
২০০৩ সাল থেকে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস খুলনা আর্ট একাডেমি প্রতিষ্ঠানটি বেশ সুনামের সাথে ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিচালনা করে আসছেন। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাব্যবস্থা অন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সব সময় ভিন্ন। এটা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার নিয়মাবলী পড়ে জানা যায়। এখানে যারা পড়েন সবাই সেই নিয়মাবলী অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস বলেন শিল্পচর্চা হলো এমনই একটি বিষয় নিত্যনতুন সৃষ্টি করার ধারাবাহিকতায় সামনে এগিয়ে যাওয়াই হল চারু শিল্পীদের কাজ। তাই আমার এখানে যারা ভর্তি হয় স্কুলের সিলেবাস ব্যতীত শিক্ষার্থীদের পারদর্শিতা অনুযায়ী চাহিদা মতো তাকে নিত্য নতুন কিছু শিল্পকর্ম দেওয়া হয়। খুলনা আর্ট একাডেমি ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাস থেকে সিলেবাসের চাপ না থাকায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ছবি আঁকার বিভিন্ন কলাকৌশল প্রশিক্ষণ দেওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল ।তারই সাথে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সকল শিক্ষার্থীর নাম কেলিওগ্রাফি আর্ট করে সকল শিক্ষার্থীর কাছে স্মৃতিচিহ্ন দিয়েছেন। আদিবা রহমান লাবিবা
খুলনার স্বনামধন্য স্কুল জোহরা খাতুন শিশু বিদ্যা নিকেতনে ২য় শ্রেণিতে পড়ে। তার নিজের শিক্ষককে কিছু দেওয়ার মতো চিন্তা জাগ্রত হয়েছে। তাই শিক্ষকের নাম লিখে ডিজাইন করে উপহার হিসেবে নিয়ে আসেন প্রতিষ্ঠানে। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস তার শিক্ষকতা জীবনে এ ধরনের উপহার গ্রহণ করতে পেরে নিজেকে গর্বিত একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষক হতে পেরে। আজকের ক্লাসের শেষ মুহূর্তে উপস্থিত ছিল লাবিবা ,তোয়া ও রাইয়ানকে সঙ্গে নিয়ে উপহারটি গ্রহণ করলেন চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস ।এবং তাৎক্ষণিক প্রিয় শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ জানান এবং আশীর্বাদ করে এই প্রতিভাবান শিশু শিল্পীর পড়াশোনার পাশাপাশি এই সাংস্কৃতিক চর্চা যদি অব্যাহত থাকে ভবিষ্যতে অনেক বড় হতে পারবে ।
আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি যে শিক্ষার্থী কৃতজ্ঞতা কাকে বলে এ বিষয়ে যদি ছোটবেলা থেকে জানে সে যত বড়ই হোক না কেন সে উপকারীর এবং গুরুজনদের প্রতি ভক্তি শ্রদ্ধা তার থাকবে ।সে একদিন অনেক বড় হবে এবং দেশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারবে। কারণ শৈশব থেকেই তার চিন্তাভাবনা সবার চেয়ে ভিন্ন । আদিবা রহমান লাবিবা তার পিতা মাতার আদর্শ নিয়ে পথ চলে। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস দীর্ঘ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে এই মন্তব্য করেন ও শিল্পী বলেন আমি মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত যেন শিশুদের নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাই।