1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
শেরপুরের শ্রীবরর্দী উপজেলার বালিঝুরি রেঞ্জের বনায়নের প্রায় ১০ কোটি টাকার গরমিল - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
শ্রীমঙ্গলে ঘরের ছাদে কমলা চাষ করে সফল ডা: সুহিত রঞ্জন নরসিংদী পৌর ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মহসিন এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ নেছারাবাদে এক কৃষক লোককে নিয়ে ব্যবসায়ির নানা অপপ্রচার বগুড়ায় হোটেল ম্যানেজার হত্যার আসামী আলিফ শেখ গ্রেপ্তার চট্টগ্রাম বন্দর সংযুক্ত শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের বিক্ষোভ মিছিল, স্মারকলিপি প্রদান নবগঠিত জাতীয়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের নেতৃবৃন্দের সৌজন্য সাক্ষাৎ নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১৪ ঠাকুরগাঁওয়ের খুদে শিক্ষার্থীদের বিস্ময়কর প্রতিভ গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম কারখানায় লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে, নিহত ১

শেরপুরের শ্রীবরর্দী উপজেলার বালিঝুরি রেঞ্জের বনায়নের প্রায় ১০ কোটি টাকার গরমিল

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: সোমবার, ১০ জুন, ২০২৪
  • ৩৪ বার পড়া হয়েছে

 

মোহাম্মদ দুদু মল্লিক শেরপুর।শেরপুর জেলার শ্রীবরর্দী উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা বালিঝুড়ি রেঞ্জের সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারি বনায়ন প্রকল্পের অন্তত প্রায় ১০ কোটি টাকার রাজস্ব গরমিল পেয়েছে বন বিভাগ।বনের বাগান বিক্রি হলেও বিক্রিত টাকা সরকারি কোষাগার হিসাব নাম্বারে জমা দেওয়া হয়নি।এর জন্য দায়ি করে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বনের সদ্য বদলী হওয়া বন কর্মকর্তা(রেঞ্জ অফিসার)রবিউল ইসলামকে।অভিযোগ ওই বনায়ন
প্রকল্পের টাকা মেরে দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।বাগান বিক্রির টাকার মধ্যে শতকরা ৪৫ ভাগ টাকা সরকারের রাজস্ব আর ৪৫ ভাগ ওই প্রকল্পের সাথে জড়িত কয়েকশ উপকারভোগী পাহাড়ি গরীব মানুষ পাবে আর ১০ ভাগ নতুন পরবর্তী বাগান করার ফান্ডে জমা থাকবে। কিন্তু ৪ বছর রেঞ্জার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরেও গেল ২ ফেব্রুয়ারী তিনি নিজস্ব জেলা জামালপুরে বদলী হন।এর আগের দুই বছর তিনি ওই রেঞ্জেই বিট কর্মকর্তা হিসেবে
কর্মরত ছিলেন।বদলী হওয়ার পর বিষয়টি বন বিভাগের নজরে আসলে নড়ে চরে বসে বন বিভাগ।বন বিভাগ ঘটনার তদন্ত শুরু করে মাস খানেক আগে থেকেই এই
বিষয়ে তদন্তের পাঁচ সদস্য করে দুইটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘটন করেছে বন বিভাগ।এদিকে অংশীদারিত্বের টাকা খোয়া যাওয়ার আশংকায় আছেন উপকার ভোগি শতশত পাহাড়ের আসহায় গরীব পরিবার গুলো। ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে
সরকারি ওই বনের রেঞ্জ অফিসে সুবিধাভোগীরা দিনরাত ঘুরছে।তদন্ত কমিটিও আসছে ঘনঘন।
জানা গেছে,ওই কর্মকর্তার চাকরি কালিন সরকারি ও অংশীদারি বনায়নের দেড়শতাধিক বাগান অন্তত ১৬ কোটি টাকায় টেন্ডারে বিক্রি করা হয়।সরকারি আইন অনুযায়ি বাগান বিক্রিত অর্থ ঠিকাদার সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে গাছ কাটার অনাপত্তি পত্র নিয়ে বাগান কেটে নিবেন বলে সর্ত থাকলেও জমাকৃত টাকা থেকে বন কর্তৃপক্ষ অংশীদারি জনগকে যার যার অংশ বোঝিয়ে দিবেন।ঠিকাদাররা বাগান কেটে নিয়ে গেছেন।কিন্ত সরকারি কোষাগারে কোনো টাকা জমা করা হয়নি।সূত্র জানিয়েছে ওই কর্মকর্তা ঠিকাদারের কাছে থেকে নির্ধারিত টাকা ব্যক্তিগত ভাবে জমা নিয়ে গাছ কাটার মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন।কিন্ত সরকারি তহবিলে জমা দেননি কোনো টাকা।অপর একটি সুত্র জানিয়েছে অভিযুক্ত রবিউল আলম ঠিকাদার সিন্ডিগেটের একটি বড় অংশের সাথে গোপনে অংশীদার ছিলেন।ওই সিন্ডিগেটকে কাজ পাইয়ে দিয়ে মিলেমিশে সরকার ও প্রকল্পের অংশীদার সাধারনের টাকা তছরুপ করেছেন।এখানে চাকরি কালিন সরকারি
দলের এক কেন্দ্রীয় নেতার নাম ভাঙ্গিয়ে মহা দাপটে চাকরি করেছেন।কেউ তিনার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারেননি।উপকার ভোগীরা বলেন আমাদের কষ্টের টাকাটা দিলেই আমারা খুশি।অভিযুক্ত রেঞ্জার রবিউল ইসলাম কোন কথা বলবেন না বলে ফোন কেটে দিয়েছেন।তারপর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।ওই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত ও তদন্ত কমিটির কথা স্বীকার করে তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব সহকারি বন সংরক্ষক সাদেকুল ইসলাম খান বলেছেন টাকার গরমিল আছে।তবে তদন্তধীন বিষয় নিয়ে আমি আর মন্তব্য করতে চায়’না।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি