মো লুৎফুর রহমান রাকিব কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি।
মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ সকাল ১১ টায় বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম এর সভাপতিত্বে হাইওয়ে পুলিশ এর ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান, এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথি এ সময় বলেন, মহাসড়কে ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধ করে সুশৃঙ্খল মহাসড়ক বিনির্মানের অঙ্গীকার নিয়ে আজ থেকে ১৯ বছর আগে হাইওয়ে পুলিশের অগ্রযাত্রা শুরু হয়। প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে হাইওয়ে পুলিশ এখন অনেক দক্ষতার সাথে কাজ করছে। ঈদ সহ বিভিন্ন উৎসবের সময়ে হাইওয়ে পুলিশ মহাসড়কের শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় অনেক ভালো কাজ করে আসতেছে।
বাংলাদেশ পুলিশের অবিভাবক ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বিপিএম (বার), পিপিএম মহোদয় হাইওয়ে পুলিশের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে হাইওয়ে পুলিশে কর্মরত সকল পুলিশ সদস্যদের অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্টেক হোল্ডারদের বক্তব্যে ফুটে উঠেছে হাইওয়ে পুলিশের অপরিহার্যতা ও প্রয়োজনীয়তা। তিনি আরো বলেন, হাইওয়ে পুলিশের কার্যকারিতা দৃশ্যমান হয়েছে এবং হাইওয়ে পুলিশের কর্মতৎপরতার কারণে এখন মহাসড়কে ডাকাতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তিনি আরো বলেন, দুর্ঘটনা সহ নানাবিধ কারণে যানযট সৃষ্টি হয় এবং পরকল্পিত মাহাসড়ক না হওয়ায় দুর্ঘটনায় কবলিত গাড়ি অপসারণ করার জন্য অনেক সময় রেকার চালানো কঠিন হয়ে পড়ে; ফলে যানযট দীর্ঘ হয়। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আইজিপি মহোদয় আরো বলেন, ঈদের সময় যানযটের ক্ষেত্রে উত্তর বঙ্গ ঠিক থাকলে পুরো বাংলাদেশের যানযট ঠিক থাকে। তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ঈদযাত্রা যদি ভাল ও আনন্দদায়ক হয়; তখন আমাদের পুলিশ সদস্যরা গর্ব অনুভব করে, স্বস্তি পাই আনন্দ পায়। এ দেশের মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ; আর এটাই আমাদের শক্তি। সুনির্দিষ্ট তথ্য ছাড়া মহাসড়কে কোন গাড়ি থামানো হবে না এবং অহেতুক কেউ হয়রানি হবে না বরং সকলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হবে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন। আইজিপি মহোদয় আরো বলেন, হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি, ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এসপিসহ হাইওয়ে পুলিশের সকল সিনিয়র অফিসার ফিল্ডে থেকে যানযট নিরসনে ভূমিকা রেখেছিল বলে গত ঈদে কোন যানযট বা ভোগান্তি হয়নি এবং এবারের ঈদেও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষে থেকে একই রকম ব্যবস্থা থাকবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা তার বক্তব্যে বলেন, উনিশ বছর আগে গঠিত হাইওয়ে পুলিশ আর এখনকার হাইওয়ে পুলিশ আকাশ-পাতাল পার্থক্য। মানুষ এখন মহাসড়কে নিরাপদ বোধ করে। হাইওয়ে পুলিশ এখন সকল ঘটনায় কুইক রেসপন্স করে।
জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা সকালেই যেন আইন মেনে চলি। আমরা যদি আইন মেনে না চলি; তা হলে হাইওয়ে পুলিশের একার পক্ষে মানসম্মত সেবা দেওয়া কষ্টকর। মহাসড়কের বিশৃঙ্খলা গুলো দূর করার জন্য হাইওয়ে পুলিশকে প্রযুক্তির সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ সব ধরনের লজিস্টিকসে সজ্জিত করে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে। স্বাগত বক্তা হিসাবে হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো: শাহাবুদ্দিন খান বিপিএম বার এ সময় বলেন, হাইওয়ে পুলিশে প্রযুক্তির সন্নিবেশ ঘটিয়ে সেবার মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ তার কাজের স্বছতা ও জবাব দিহিতা নিশ্চত করতে বডি ওর্ন ক্যামেরা ব্যবহার করে মহাসড়ক সংক্রান্ত সকল ডিউটি প্রতিপালন করে থাকে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে বলেন, আমরা পরিবহন সেক্টরের মালিক শ্রমিক সংগঠনের লোকজন দ্বৈত শাসনের মধ্যে আছি; আমরা চাই মহাসড়কের সকল এলাকা হাইওয়ে পুলিশ পুরোটাই দেখুক।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান (গ্রেড-১)নূর মোহাম্মদ মজুমদার, পুলিশ হেডকোয়ার্টারের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, হাইওয়ে পুলিশের সকল সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, ডিএমপি'র সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, বাংলাদেশ পুলিশের অন্যান্য ইউনিটের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ, মালিক ও পরিবহন সেক্টরের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ, ইলেকট্রনিকস ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ প্রমুখ।