তৌসিফ রেজা (বিশেষ প্রতিনিধি)
পবিত্র ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পবিত্র ঈদ উল আযহার এর শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন খানকাহ আলিয়া আশরাফিয়া আহমাদিয়া (জায়েস শরীফ) এর ওয়ালিয়ে আহাদ ও নাঈম উল আউলিয়া ফাউন্ডেশন এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং বি এন এ মিডিয়া সেল ইন্টারন্যাশনাল এর চেয়ারম্যান সৈয়দ জামাল আশরাফ আশরাফি আল জিলানী (ভারত)।
নাঈম উল আউলিয়া ফাউন্ডেশন কে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন,"কোরবাণীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের দ্বারে সমাগত। এ ঈদ আমাদের সার্বিক ত্যাগের শিক্ষা দেয়। মুসলমানদের নিকট ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা- এ দু'টি ঈদই আনন্দের দিন। এ দু'ঈদে মানুষ সকল ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পরস্পর পরস্পরের নিকটবর্তী হয় এবং ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করে। দু'টি ঈদ আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয় না, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরকে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ করে সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। ঈদ আমাদের
ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয়ভাবে ঐক্যের বন্ধন শক্তিশালী করে। ঈদুল আযহা মানুষকে ত্যাগ ও কোরবাণীর আদর্শে উজ্জীবিত করে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং শোষণ দূর করে একটি শোষণমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকারে অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলেই বাস্তবজীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে। হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও তাঁর স্ত্রী বিবি হাজেরা এবং তাদের প্রিয় পুত্র হযরত ইসমাইল (আঃ) ত্যাগের যে মহান আদর্শ স্থাপন করে গিয়েছেন সেইভাবে আমরাও যদি আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের প্রিয়বস্তু, ধন-সম্পদ কোরবাণী করার জন্য প্রস্তুত হতে পারি তাহলেই আমাদের কোরবাণী স্বার্থক হবে। পরিশেষে ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসী সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি তিনি আমাদের সবাইকে সুন্দর পরিবেশে ঈদুল আযহা শুভেচ্ছা উদ্যাপন করার ও এ ঈদের শিক্ষা বাস্তব জীবনে ধারণ করার তাওফিক দান করুন।