মিজানুর রহমান,জেলা প্রতিনিধি (বগুড়া) :-
বগুড়ার শিবগঞ্জে দেউলী ইউনিয়নে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের মারপিটে কৃষক আহম্মদ ভুতুল (৫৫) নিহত হয়। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার শিবগঞ্জে একটি মসজিদের কমিটির দ্বন্দ্বে প্রতিপক্ষের মারপিটে চার জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ দুই জনকে গ্রেফতার করে।
শিবগঞ্জ উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখর্দ্দ গ্রামে গত সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় এ মারপিটের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের একটি মসজিদ কমিটি নিয়ে কিছু সময় ধরে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। পরবর্তীতে প্রভাব বিস্তারের জন্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বোরহান উদ্দিন ও সাকিরুল ইসলামের দুটিপক্ষ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। এনিয়েই দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছে। পরবর্তীতে মারপিটের ঘটনায় রূপ নেয়। ঘটনার দিন গ্রামের রাস্তার ওপর দুই গ্রুপের লোকজনের মধ্যেও প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে একপর্যায়ে দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সাকিরুল ইসলাম তার লোকবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠি-শোটা নিয়ে রোবহান উদ্দিনের পক্ষের লোকজনকে বেদম মারপিট করে। এতে ওই গ্রামের আলম মিয়া (৫৫) শেখ সাদি (৪৫), আবু সালেক (৬৫) ও সালা উদ্দিন (৪৮), আহম্মদ ভুতুল (৫৫) গুরুত্বর আহত হয়।
ঘটনার পরপর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়। আহত শেখ সাদীর অবস্থা আশঙ্কজনক হলে রাতেই তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টায় আহমদ্দ ভুতুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান জানান, ওই ঘটনায় বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মামলায় অভিযুক্ত দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাকিরুল ইসলাম ও মন্টু মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে আহম্মদ ভুতুল (৫৫) নামে একজন বগুড়া শজিমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন। এদিকে সংঘর্ষের পর পরই নিহতের ভাই সাজু মিয়া (৫৫) ভাইয়ের মুখমন্ডল রক্তাক্ত দেখে সে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে রাতেই সে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায় বলে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়।