আব্দুল মজিদ (স্টাফ রিপোর্টার) বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ১৪ দলের মুখপাত্র, একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক মন্ত্রী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিমের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০২০ সালের ১৩ জুন ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোহাম্মদ নাসিম ইন্তেকাল করেন ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) সকাল এগারোটায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ’ দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। দিনব্যাপী কুরানখানি ও শহীদ এম মনসুর আলী অডিটরিয়ামে দোয়া ও স্মরণসভার আয়োজন করা হয়।
কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেফাজ উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এমপি, প্রধান বক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন এমপি, বিশেষ বক্তা ছিলেন সিরাজগঞ্জ-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি তানভীর শাকিল জয়, সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, কাজিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান তালুকদার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিপ্লব সরকার, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়েম তালুকদার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ জেলা ও কাজিপুর উপজেলার হাজার হাজার দলীয় নেতাকর্মীর । বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন মাওলানা মোতালেব হোসেন৷
১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়িপাড়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন মোহাম্মদ নাসিম। তার বাবা শহীদ এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। যিনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
পারিবারিক জীবনে মোহাম্মদ নাসিম তিন সন্তানের জনক ছিলেন। তার স্ত্রী লায়লা আরজুমান । বড় ছেলে তানভীর শাকিল জয় সিরাজগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে ৬ বার নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৮৬, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯১ সালে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ, ১৯৯৬ সালে আাওয়ামী লীগ সরকারের গণপূর্ত, ডাক, তার ও টেলিযোগ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এবং ২০১৪ সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।