স্টাফ রিপোর্টার
দেশের অপার সম্ভাবনাময় চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের চক্রান্ত হতে রক্ষা করতে সকলকে সচেতন হবার আহবান জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান। কুরবানির চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেট এর কারসাজি রুখতে ভোক্তাদের করনীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার রক্ষা আন্দোলন এর সিনিয়র সহসভাপতি মীর্জা শরিফুল আলম, সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আকবর হোসেন, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এ্যাডভোকেট লতিফুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব ও কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি মোঃ আব্দুল খালেক প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন আন্তর্জাতিক বাজারে ও
দেশে চামড়াজাত পণ্যের মূল্য উল্ল্যেখযোগ্য হারে বেড়েছে রপ্তানিও বেড়েছে তারপরও কাঁচা চামড়া নিয়ে কেন তুঘলকি কান্ড? বিগত কয়েক বছর ধরে সিন্ডিকেটের কারসাজিতে চামড়ার ন্যায্য মূল্য বঞ্চিত হচ্ছে ভোক্তারা
পশুর চামড়া পাচার রুখে সম্ভাবনাময় এই শিল্পকে বাঁচাতে হলে কাঁচা চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে। রুখতে হবে সিন্ডিকেট।
নেতৃবৃন্দ চরম উদ্বেগ প্রকাশ করে আরো বলেন কাচা চামডার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় বিগত বছর সুনামগঞ্জে ৯০০ চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলে।
সচেতন না হলে বিদেশি ষড়যন্ত্রের হাত থেকে চামড়া শিল্প রক্ষা করা সম্ভব হবে না। বিগত কয়েক বছর যাবত আমাদের দেশে কুরবানীর চামড়া গুলো নষ্ট হচ্ছে এবং গরীব অসহায়রা ও বঞ্চিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য কে বা কারা গভীর ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে খুঁজে বের করে কঠিন শাস্থির ব্যবস্থা নিতে না পারলে আগামীতে এই শিল্প ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে যাবে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন
চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে সরকারি অথবা বেসরকারি উদ্যোগে একটি করে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে। এই কারখানার মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করে প্রক্রিয়াজাত করে চামড়াজাত পণ্য উৎপাদন করবে। এতে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান, নিশ্চিত হবে চামড়ার ন্যায্য মূল্য ও সঠিক ব্যবস্থাপনা।