মোঃ সালাউদ্দিন:- খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার), খাগড়াছড়ি জেলায় যোগদানের পর থেকে খাগড়াছড়ি জেলাকে মাদকমুক্ত করার প্রত্যয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেন।
পুলিশ সুপারের সার্বিক দিক—নির্দেশনায় এবং দক্ষ নেতৃত্বে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) এর দিকনির্দেশনায়, গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আরিফুল আমিনের তত্বাবধানে,এএসআই (নিঃ) আবু বক্কর সিদ্দিকের নেতৃত্বে গুইমারা থানা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার (১৬ জুন) সকালে মোঃ আলমগীর (৫০) নামের একজনকে আটক করা হয়।
জানা যায়, গুইমারা ইউপির ০৬নং ওয়ার্ডস্থ গুইমারা বাজারে মসজিদ সংলগ্ন হাসানের চা দোকানের সামনে পাঁকা রাস্তার উপর চেকপোস্ট করাকালে একটি ফল বোঝাই পিকআপ গাড়ীকে সিগন্যাল দিলে উক্ত পিআপটি একটু সামনে গিয়ে দাড়ায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ গাড়ীর ড্রাইভার দৌড়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ড্রাইভারের পাশে বসা মোঃ আলমগীর(৫০) কে আটক করে।
সে লক্ষীপুরে জেলার কমলনগর থানার মুন্সির হাট গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেব এর ছেলে।
আলমগীরকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় উক্ত গাড়ীতে কাঠালের নিচে বস্তা ভর্তি দেশীয় তৈরী চোলাই মদ আছে।
পুলিশ গাড়ী তল্লাশী করিয়া কাঁঠালের নিছে লুকায়িত অবস্থায় সর্বমোট ০৮টি চটের বস্তার ভিতরে ০৯টি জারকিন ও ৪৫ টি প্লাস্টিকের বোতল ভর্তি সর্বমোট ১৯৮ লিটার দেশীয় তৈরী চোলাই মদ উদ্ধার করেন।
এবিষয়ে গুইমারা থানার ওসি বলেন মাদকের সাথে আপোষ হীনতা আগের মতোই থাকবে, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।