মোঃ আব্দুল হাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :
জয়পুরহাটের কালাইয়ে, জমি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বেগুনগ্রাম ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক মোঃ মেহেদী মাসুদ কে তাঁর নিজস্ব প্রতিষ্ঠান হার্ডওয়ারের দোকানের সামনে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফিল্মি স্টাইলে মারধর এর ঘটনা ঘটে।
গতকাল রবিবার (১৬জুন) বেলা ১২ টায় কালাই পৌর এলাকার কালাই প্রেসক্লাব এর সামনে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে।
এমন ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী আয়েশা সিদ্দিকাসহ তার বোন পারুল, পারভীন এবং তার পরিবার।
রবিববার ( গত ১৬ জুন ) সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় সময় কালাই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ভুক্তভোগীর দুলাভাই মেহেদী হাসানের ভাড়া বাসায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে আয়েশা সিদ্দিকা বলেন,
পৌর এলাকার পাঁচশিরা বাজারে আফছার আলীর হার্ডওয়্যার এর দোকান ছিল। আফছার আলীর পুত্র সন্তান না থাকায় (তার ভাতিজা) মোঃ আঃ মোমিন বিভিন্ন ভাবে মাঝে-মধ্যে ব্যবসায়িক কাজে সহযোগিতা করতেন এবং গত (০৮/০৪/২০২৪)তারিখে হার্ডওয়্যার দোকানের মালিক মোঃ আফসার আলী ইন্তেকাল করেন। এর পর থেকেই আফসার আলীর ভাতিজা ও ভাই হওয়ার সুবাদে যোগসাজোসে মৃত আফছার আলীর সম্পত্তির অংশের উত্তরাধীকারী হিসাবে হার্ডওয়্যার দোকান ঘরে থাকা আনুমানিক -৯০,০০০,০০/ (নব্বই লক্ষ) টাকার বিভিন্ন হার্ডওয়্যারের মালামাল'সহ দোকান ঘর জোরপূর্বক জবর-দখল করেছেন এবং জীবিতকালীন অভিযুক্ত আঃ মোমিন ব্যবসায়িক কার্যক্রমে সহযোগিতার সুযোগে অপকৌশলে গত ইং প্রায় ০২ মাস আগে অনুমানিক ৪০,০০০,০০/- (চল্লিশ লক্ষ) টাকা আত্মসাৎ করে।
এবিষয়ে তিনি আরও বলেন ,কালাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াসিম আল বারী কে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হয় তিনি নিজে তার বিচার না করে বিচার এর দায়িত্ব তিনি নাহিদ চৌধুরী কে দিয়েছেন । কোন সুষ্ঠু বিচার না পেয়ে পরে আমরা কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন এর কাছে বিচার চেয়েছি তিনিও বিচার করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। এমন হামলার ঘটনায় আমরা তিন বোন মাকে নিয়ে কোথায় উঠবো আমরা অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সহ দেশের সকল প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমরা যেন ন্যায় বিচার পাই।
ভুক্তভোগী পরিবার জানায়,তারা উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার চাওয়ার উপর ভিত্তি করে গত (১৬ জুন) রবিবার বেলা ১২ টার সময় আমার চাচাতো ভাই মোমিন,নাহিদ চৌধুরী সহ তার কয়েক জন ছেলেদের নিয়ে এসে হার্ডওয়ারের দোকানের সামনে আমার দুলাভাই মেহেদী মাসুদ কে চর, কিল, ঘুশি, সহ বিভিন্ন ভাবে মারধর করে একটু পরে আমার মা" ঘটনা স্থলে পৌঁছালে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং গায়ে হাত তোলেন।
ভুক্তভোগী আয়েশা সিদ্দিকার ভগ্নিপতি মোঃ মেহেদী মাসুদ সরকার বলেন তার শশুরের তিনটি মেয়ে ছেলে সন্তান না থাকায় তার ভাতিজা বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করত বিনিময়ে তারা পারিশ্রমিক ও পেত আমার শশুর মারা যাওয়ার পর আমার শশুর এর ধানি প্রায় (২৫) বিঘা জমি ও ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান দখল করেছেন তারা আমার বৌ এবং তাঁর আরো দুটি বোন এবিষয়ে তাদের সাথে কথা বলতে চাইলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে দোকান থেকে বের করে দেয় আমার শশুর এর জমি তারা জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে আমি প্রতিবাদ করায় আমার দোকানে এসে হামলা করে এবং আমাকে মারধর করেছেন।
এদিকে অভিযুক্ত নাহিদ চৌধুরী ও মোমিন এর সাথে কথা বলার জন্য ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায় তাদের।
কালাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন প্রতিদিনের কাগজ কে বলেন , বিষয়টি আমি জানি উনাদের দু পক্ষের সাথে কথা হয়েছে খুব শীঘ্রই বসে মিমাংসা করা হবে।