স্টাফ রিপোর্টার
বকশি বাজারস্থ,খানকাহ্ ফকীর জহুর আল ক্বদরী, ঢাকা এর পীর সাহেব সুফি স্কলার ফকির শাহ সাঈদ আনোয়ার মোবারকী আল কাদরীর অমীয় বাণী
"কেবল সেবা নয়, মানুষকে দাও তোমার হৃদয় এবং নি:স্বার্থ প্রেম। হৃদয়হীন সেবা নয়, তারা চায় তোমার অন্তরের স্পর্শ" এরকম প্রেমের উক্তি যাঁর মুখেই কেবল সিমাবদ্ধ নয় ; যিনি আর্তমানবতার সেবায় মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে নিজকে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন এবং নিজের উপার্জিত অর্থে প্রায় ৪ যুগ ধরে আধ্যাতিক ও মানবসেবার খেদমতে নিয়োজিত, চার তরিকার অনন্য মার্কাজ, খানকাহ ফকির জহুর আল কাদরী-এর বর্তমান পীরসাহেব কেবলা, ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ।
সারাবিশ্বের অসংখ্য মানুষের হৃদয়ে অমর হয়ে রইবেন বিশিষ্ট সমাজসেবক, সুফি স্কলার, শীর্ষ ব্যবসায়ী, দানবীর,, ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার আল মোবারকী ক্বাদরী পীরসাহেব কেবলা। তিনি একজন সুফি কবি কাজী নজরুল অনুরাগী সেই সাথে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ে যারা অবহেলিত, বঞ্চিত, অনাথ, তাদেরই বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাচ্ছেন এবং সাধারণ থেকে অসাধারণ হয়ে গড়ে উঠেতে আর্থিক, মানুষিক ও আধ্যাতিক সব রকমের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা বাংলার বর্তমান দাতা মুহসিন, ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ।
মানবিক সমাজ বিনির্মাণের প্রত্যয়ে কিছু মানুষ আছেন যাঁরা গড়ে উঠেন মানবিকতা পূর্ণ সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে এবং কাজ করে যান নীরবে নিভৃতে। এমনই একজন বিরল মহামানব ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ। আত্মপ্রচার নয়, আত্মতৃপ্তিই যাঁর মূল উদ্দেশ্য। মানবতার কল্যাণে নিজেকে কিভাবে বিলিয়ে দেয়া যায় তার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত তিনি। কখনও ছুটে যান মাদরাসার এতিমদের পাশে আবার কখনও কোন দরিদ্র মানুষের ঘরে, পথে প্রান্তরে। প্রতিদিন ভাল কাজের পাশাপাশি অসংখ্য মেহমানকে সাথে নিয়ে খানা খাওয়া যাঁর নিত্যদিনের অভ্যাস। মানুষকে ভালবাসা ও মেহমানদারী করা তাঁর পরম আনন্দ, মানুষের কল্যাণই তাঁর ব্রত। উনাকে বাংলার মানবতার পায়রা তথা শান্তির দূত বলে অভিহিত করা যেতে পারে।
সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে জড়িয়ে জীবনে তৃপ্তি খোঁজেন দেশের শীর্ষ উদ্ভাবক ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, মানবতার ফেরিওয়ালা ফকীর শাহ্ সাঈদ আনওয়ার মোবারকী আল ক্বাদরী হাফিজাহুল্লাহ। শত কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি নতুন-নতুন উদ্ভাবন করেও থেমে থাকেন নি তিনি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ, ছিন্নমূল পথশিশু ও রাস্তায় থাকা মানুষের বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা করতে থাকেন এই বাংলার মানবিক পীর সাহেব কেবলা।
দীর্ঘ বছর ধরে তিনি
সামাজিক কর্মকাণ্ড ও মানবসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ইতোমধ্যে তাঁর ঝুলিতে জমা হয়েছে স্বর্ণপদকসহ অসংখ্য সম্মাননা স্মারক। করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাক্স, হ্যান্ডগ্লাফস, হ্যান্ড ওয়াশ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণসহ ঘরে থাকা কর্মহীন মানুষ ও ভক্ত-মুরিদের জন্য প্রতিনিয়ত খাদ্য সরবরাহ করেছেন তিনি। ১ ঘন্টার জন্যও তাঁর খানকাহের মূল ফটক (মানুষের সমস্যা সমাধানে) বন্ধ করেন নি তিনি।
নিজের অর্থ দিয়ে তিনি পরিবেশ ও মানুষের জন্য একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন। সবার উপরে মানুষ তার উপরে নাই একথার উপরে তিনি অধিষ্ঠিত ও প্রতিষ্ঠিত। নিজের দক্ষতা, বুদ্ধিমত্তা, আত্মতৃপ্তির স্বাদ মিটাতে দিনে রাতে রাস্তায় পড়ে থাকা বস্রহীন পাগল ও অভুক্ত প্রাণীকূলে খাবার পৌঁছে খেদমত করে যাচ্ছেন তিনি নিজের গাড়িতে করে। পরিবেশ সুরক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, অসহায়কে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, নিরাপদ খাবার পানির জন্য টিউবওয়েলের ব্যবস্থা ও পথে পড়ে থাকা অসহায় ছিন্নমূল মানুষের জন্য বাসস্থান ও খাবারের ব্যবস্থা তাঁর নিত্যদিনের কাজের অন্যতম রুটিন। শীতার্ত আবহাওয়ায় মানুষ যখন যবুথবু হয়ে ঘরে বসে থাকেন, সেই পরিস্থিতিতেও তাঁর ঘরে মন বসে না। কম্বল নিয়ে ঘুরে বেড়ান গরিব অসহায় পরিবারের দরজায়।
ঢাকা আলীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন বকসিবাজার মোড়ে অবস্থিত,
ফকির শাহ্ সাঈদ আনওয়ার আল মোবারকী ক্বাদরী পরিচালিত খানকাহ্ ফকির জহুর আল ক্বাদরীতে প্রায় দীর্ঘ ৪ যুগের অধিক সময় ধরে, প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার বার দরূদ শরীফ ও খতমে খাঁজেগান এবং প্রতি আরবী মাসে চাঁন্দের ১১ তারিখ বাদে এশা এগারো শরীফের আমল, মিলাদ ও কেয়াম শরীফের বরকতী আমল, হামদ ও নাঁত শরীফ, শানে বেলায়াত, বুর্দায়ে বড়পীর আব্দুল কাদির জিলানী, কাসিদায়ে খাজা গরিবে নেওয়াজ ও আশিকী কালামের মজলিশ প্রচলন রয়েছে।