মেহেরুল ইসলাম মোহন নাটোর জেলা প্রতিনিধি
নাটোরের লালপুর উপজেলার দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিল ও তৎসংলগ্ন এলাকা(মনিহারপুর,জোতগৌরী,ওমরপুর,গন্ডবিল আট্টিকা অপরদিকে এমআর হাইস্কুল সংলগ্ন ৪ রাস্তার মোড় হতে ৩ দিকে প্রায় ১ কিলোমিটার করে মোট ৩ কিলোমিটার রাস্তার অভিমুখে হালকা বৃষ্টি হলেই পিচ রাস্তায় দেখা যাচ্ছে কাদার প্রলেপ।ফলে সৃষ্টি হচ্ছে জন দুর্ভোগ।
বুধবার(২০ জুন-২৪) সকাল ও বিকেলে হালকা বৃষ্টির পরে উল্লেখিত এলাকা সমূহ ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে,হালকা বৃষ্টি হওয়ার কারণে পিচ রাস্তা গুলোর উপরে মাটি বহনকৃত ট্রাক্টর থেকে পড়ে যাওয়া মাটি গুলো নরম হয়ে রাস্তায় ব্যাপক হারে কাদা মাটির প্রলেপ পড়ে পিচ্ছিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছে অত্র এলাকার জন সাধারণ। রাস্তায় চলাচল করা বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল ও ভ্যানচালকসহ সাধারণ জনগণ পড়েছে চরম দুর্ভোগে। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে অনেকটা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে তারা।
স্হানীয় এলাবাসীরা জানান,বসন্তপুর বিলে অবৈধ ভাবে পুকুর খনন,পুকুর সংস্কারের নামে মাটি হরিলুট ও পুকুরের মাটি ট্রাকের মাধ্যমে এই এলাকার বিভিন্ন স্থানে বহন ও বিক্রি করার কারণে রাস্তায় মাটি পড়তে পড়তে এমন রূপ নিয়েছে। বোঝার উপায় নেই রাস্তাটি পাকা না কাঁচা। বর্তমানে একটু বৃষ্টি হলেই এই রাস্তা দিয়ে চলাচল কারা বিপদজনক হয়ে পড়ে। তারপরও প্রয়োজনের তাগিদে রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার মুখোমুখি পড়তে হচ্ছে এই এলাকার বসবাসকারী ও পথচারীদের।আমরা এলাকাবাসী পুকুর খনন ও ট্রাক্টর যোগে মাটি বহনকালে পুলিশ-প্রশাসনদের অবগত করলে তারা আসে মাটি খেকোদের সাথে দেখা করে চলে যায় কোন সুফল হয়না।পরে ডিসি অফিসে পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেও থামানো সম্ভব হয়নি।তখন যদি ভেকু মেশিন বন্ধ করা হতো এখন আমাদের এই জন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে দুড়দুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন তোফা বলেন,এই রাস্তা গুলোর এবং এই এলাকার জনগণের বেহাল দশার একমাত্র কারণ হলো বসন্তপুর বিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অসংখ্য পুকুর খনন ও ট্রাক্টর দিয়ে মাটি বহন কাজ।
তিনি আরও বলেন আমি নিজে মাইকিং করেও বসন্তপুর বিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পুকুর খনন বন্ধ করতে পারিনি।মাটি খেকোরা গভীর রাতের আঁধারে খনন করে এবং খননকৃত মাটি বিভিন্ন এলাকায় ট্রাক্টর যোগে বহন করে বিক্রি করার কারণে আজ রাস্তার এই বেহাল দশা।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, দুড়দুড়িয়া ইউনিয়নের বসন্তপুর বিল ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পুকুর খনন ও মাটি বহন বিষয়ে একাধিক বার অভিযান চালানো হয়েছে এবং খবর পেলেই অভিযান অব্যাহত থাকবে।