হঠাৎ যমুনার পানি বৃদ্ধির কারণে শাহজাদপুরে শুরু হয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। কয়েকেদিনের ব্যবধানে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙনকবলিতরা।
এদিকে, যমুনার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নদীর তীরবর্তী এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। গত চার-পাঁচদিনে সিরাজগঞ্জ শহর ও কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে আশঙ্কাজনকভাবে পানি বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুরে পাউবো সূত্র জানায়, সকালে সিরাজগঞ্জ শহর হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭৭ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে বুধবার পানি বেড়েছে ৪৩ সেন্টিমিটার। অপরদিকে কাজীপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৫ মিটার। যা গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জানা যায়, শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর, খুকনী ও কৈজুরী ইউনিয়নে যমুনার অরক্ষিত তীরবর্তী অঞ্চলে কয়েক বছর ধরেই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকটি গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। বাস্তুহারা ও নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিত এসব মানুষ।
শাহজাদপুর উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ভাঙনকবলিত আব্দুস সালাম বলেন, জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনরোধ করা না হলে আরও শত শত বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডে নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, শাহজাদপুর উপজেলায় যমুনার ডানতীর সংরক্ষণের জন্য সাড়ে ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। কাজের মেয়াদ যদিও চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে কাজ শেষ না হওয়ায় আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
দৈনিক নিউজ রিপোর্ট
মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী