নিজস্ব প্রতিবেদক
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে নিয়োগ পরিক্ষার কেন্দ্র দখল করে নিজ কর্মীকে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল মাস্টার ও তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে।
আজ শুক্রবার (২১ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জাহাঙ্গীরগাঁতী চক সরাপপুর বোয়ালিয়া দ্বিমূখী উচ্চ বিদ্যালয় অফিস সহায়ক পদে পরীক্ষা চলাকালে এমন চাঞ্চল্যকর দৃশ্য চোখে পরে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় অফিস সহায়ক পদে ১২ জন পরীক্ষার্থী আবেদন করেন। কিন্তু বোয়ালিয়া গ্রামের পশু চিকিৎসক আওয়ামী লীগের কর্মী মোঃ
সরোয়ার হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সামিউল হোসেন কে ১২ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিয়োগ প্রদান করেন।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হামিদ যোগদান করার পর থেকে স্কুলটিকে জিম্বি করে নানা অনিয়ম করে আসছে। এছাড়া পরীক্ষার সময় সকাল ১০ টায় নির্দিষ্ট করা থাকলেও নির্দিষ্ট টাইম এর আগে দুই পরীক্ষার্থী কেন্দ্রে আসলে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালা মেরে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশে বাধা প্রদান করেন।
সরজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির জামাতা তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হওয়ার আধিপত্য বিস্তার করে বিভিন্ন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ মহড়া দিচ্ছে।
অফিস সহায়ক পদে পরীক্ষার্থী নাইমের বাবা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, পরীক্ষার কেন্দ্রে সভাপতি জহুরুল মাস্টারের মনোনীত প্রার্থী মোঃ সামিউল কে বিভিন্ন প্রশ্ন বলে দেন। এবং ভাইবা পরীক্ষায় কোন প্রশ্ন না করেই তাকে নির্বাচিত করেন।
তাড়াশ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রুবেল হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন আমি কোন আধিপত্য বিস্তার করিনি। তবে পরীক্ষার কেন্দ্রে সবাইকে নিয়ে অবস্থান করে পর্যবেক্ষণ করছি।
এবিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল মাস্টার বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সব মিথ্যা এর কোন প্রমান নাই, এই নিয়োগে ইউএন আমার কোন কথাই শোনে নাই এটা কোন নিয়োগ হলো নাকি।
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমার কাছে গেট তালা লাগিয়ে নিয়োগ পরিক্ষা নেওয়ার বিষয়ে জনতে চাইলে তিনি বলেন এটা নিয়ম আছে গেটে তালা লাগিয়ে নিয়োগ দেওয়া তাই এটা করেছে আর নিয়োগে যে পরিক্ষায় প্রথম হযেছে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দৈনিক নিউজ রিপোর্টার
মো: মোসলেম উদ্দিন সিরাজী