জামাল উদ্দীন - নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
কক্সবাজারের টেকনাফে হ্নীলা নাফনদী সংশ্লিষ্ট পাউবোর বেঁড়িবাঁধের স্লুুইচ গেইটের দরজাগুলো কিছু প্রভাবশালী কর্তৃক পরিকল্পিত ভাবে বন্ধ করে দিয়ে মাছ চাষ করার কারণে অল্প বৃষ্টি হলেই পানিতে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চল গুলো।
আগেকার দিনে টানা সপ্তাহ দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টিপাত হত তখন কোন পানির প্রভাব নাফ নদীর বেঁড়িবাঁধের এপারে লাগতনা।এখন ভাল করে ব্যাঙ্গে পেশ্রাব করলেও উপকুলীয় এলাকা গুলো প্লাবিত হয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে হ্নীলা জালিয়া পাড়া ও চৌধুরী পাড়ার মধ্যবর্তী এলাকার স্লুুইস গেইট টি দীর্ঘদিন ধরে হ্নীলা হামজার ছড়া এলাকার মৃত,কালুমিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া বন্ধ করে দিয়ে মাছ চাষের পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে ইয়াবার চালান তুলে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দিয়ে আসছে।
এই ভাবে অসাধু প্রভাবশালী কিছু ব্যাক্তি মাছ চাষের নামে স্লুুইসগেইটের দরজাগুলো বন্ধ করে দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিলে উপর থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের পানি ও নিচ থেকে জোায়রের পানির সংমিশ্রণে পানি বেড়ে গিয়ে বিপদ সীমানায় পৌঁছে যায়।
ফলশ্রুতিতে উপকূলীয় এলাকার রাস্তা ঘাট, ঘর বাড়ি, স্কুল কলেজ,মাদ্রাসা মসজিদ,লবনের গুলা চিংড়ি ঘের সহ নানা মূল্যবান স্থাপনা পানির নিচে তলিয়ে যায়এবং
সংশ্লিষ্ট এলাকার লোকজনদের লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসান গুনতে হয়।
এদিকে পাউবোর স্লুুইচ গেইটের দরজা গুলো যুগ যুগ ধরে কিছু প্রভাব শালী ব্যাক্তি বন্ধ রেখে মৎস চাষের নামে অবৈধ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শকের ভুমিকায় লিপ্ত। এব্যাপারে ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পায়না।
উল্টো বিভিন্ন প্রভাবশালীদের দ্বারা হেনাস্থা হতে হয় বলে জানান। তাদের বিরুদ্ধে বিহীত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট প্রশানের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য যে, বিগত দুই বছর ধরে এইভাবে স্লুুইচ গেইট বন্ধ করে রাখায় শত শত মানুষের হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হয়েছে বলে জানিয়ে ছেন।