আতিকুর রহমান আতিক
কালিহাতী প্রতিনিধি, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল কালিহাতীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিক সোহাগ এর বাড়িতে প্রেমিকা শান্তা আক্তার নামক এক সন্তানের জননী গত শনিবার সোহাগের বাড়ি থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করল পুলিশ।
এলাকাবাসীর সাথে আলোচনার মাধ্যমে জানা যায় যে, কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণ পাড়া উপজেলার অলুয়া গ্রামের মুখলেসুর রহমানের মেয়ে এবং তার একটি পুত্র সন্তানও আছে। তারই ধারাবাহিকতায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়ি ইউনিয়নের খালুয়াবাড়ি গ্রামের পিতা নুরুল ইসলাম মাতা ছোবুরার ছেলে সোহাগ এর সাথে প্রেমের আলাপনে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই প্রেমের টানে ৪ দিন যাবত শান্তা আক্তার প্রেমিক সোহাগের বাড়িতে অবস্থান করতেছিল। আরো জানা যায় যে, সোহাগের মোবাইল ফোন এর মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয় এবং কি তারা উভয়ে টিকটক করতেও লিপ্ত ছিল। তাদের মধ্যে গভীর প্রেমের একটি সম্পর্ক তৈরি হয়। আরও জানা যায় যে, স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে তারা বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করেছে। এক সময় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে শান্তা আক্তারের সাথে সোহাগ শারীরিক সম্পর্কেও লিপ্ত ছিল একথাও প্রকাশ পায়। সেই প্রেমের টানে এবং সোহাগের প্রতিশ্রুতিতে শান্তা আক্তার কুমিল্লা থেকে খালুয়াবাড়ি গ্রামে সোহাগের বাড়িতে চলে আসে। শান্তা আক্তার সোহাগকে না পেয়ে তার পরিবারে ও গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গকে সমস্ত ঘটনা উত্থাপন করে কিন্তু শান্তা আক্তার সোহাগের পরিবার থেকে কোনরকম আশানুরূপ ফল এবং গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পক্ষ থেকেও আশার আলো না পাওয়ার কারণে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ হিসেবে দেখতে পায় গ্রামবাসী এবং পরবর্তীতে পুলিশ তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে শান্তা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। মৃত শান্তা আক্তার এর মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল এর মর্গে পাঠানো হয়। এ বিষয়টি গ্রামের এবং সুশীল সমাজের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করছে, যাতে করে তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় ও সুষ্ঠু বিচার ব্যবস্থা হয় সেই দিক বিবেচনায় রেখে সুশীল সমাজের দাবি উত্থাপন করে।