স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বন্ধ থাকা বিদ্যুতের মেইন লাইনে সংযোগ দিতে গিয়ে স্থানীয় এক ইলেকট্রিসিয়ানের বিদ্যুৎ স্পর্শে মৃত্যু হয়েছে। নিহত ইলেকট্রিসিয়ানের নাম সুজন মিয়া (২০)। সে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী রতনপুর গ্রামের মো. জয়নাল মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে কলাগাঁও - সুন্দরবন গ্রামী পল্লী বিদ্যুতের মেইন লাইনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কলাগাঁও অভিযোগ কেন্দ্রে থেকে স্থানীয় ইলেকট্রিসিয়ান নিহত সুজন মিয়া এবং একই গ্রামের আরিফুল ইসলাম নামে দুইজনকে অনুরোধ করা হয় মেইন লাইনে উঠে বিদ্যুৎ লাইনটি পুনরায় সংযোগ দেওয়ার জন্য। প্রতিদিনের ন্যায় ফোন পেয়ে নিহত সুজন সুন্দরবন গ্রামের সামনের একটি বিদ্যুতের কুটির উপরে উঠে লাইন সংযোগ দেওয়ার জন্য। নীচে আরিফুল ইসলাম নামে অপর এক জন মোবাইল ফোন নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। নিহত সুজন বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিয়ে খুটির উপর থেকে নীচে নামার আগেই বিদ্যুৎ লাইন সচল হলে সে বিদ্যুৎ স্পর্শে খুটির মধ্যেই ঝুলে পড়ে। এতে তার হাত বুক মুখ ঝলসে পড়ে। পরে আবার ফোনে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ বন্ধ করে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত দুইটার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা মো. জয়নাল মিয়া বলেন, রাতে বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর কলাগাঁও পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র এবং বাদাঘাট অফিস থেকে ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পরে আমার ছেলে বন্ধ বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ দিতে গিয়ে খুঁটির উপর বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা যায়।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট সাব জোনাল অফিসের লাইন ক্লু লেভেল ওয়ান আহাদ বলেন, তাকে না জানিয়ে নিহত সুজন বন্ধ হয়ে থাকা ফিডার সংযোগ প্রদান করতে যান। সাড-ডাউনে থাকা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন রাতে যথা নিয়মেই চালু হলে সে বিদ্যুৎ স্পর্শে মারা যান।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট সাব জোনাল অফিসের সহকারি জেনাল ম্যানেজার ইকরাম হোসেন জনি বলেন, উপজেলার সুন্দরবন এলাকায় বিদ্যুতের ফিডার বন্ধ ছিল শনিবার রাতে। ফের যথারীতি নিয়মে ফিডারটি চালু করা হয়। তিনি বলেন, সুজন নামের নিহত ইলেক্ট্রিশিয়ান আমাদের কাউকে অবহিত না করেই সে এলাকার গ্রহকদের কথায় ফিডার চালু করতে গিয়ে তার এমন মৃত্যু হয়েছে।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দীন বলেন, সংবাদ পেয়ে সুনামগঞ্জ থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে সদর থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।