হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা ||
বাগেরহাটের রামপালে নিকাহ রেজিষ্টার কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙ্গচুর, টাকা আত্মসাৎ ও নিকাহ রেজিস্টারকে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামাপাল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নিকাহ রেজিস্টার নাজিম উদ্দিন।
জানা গেছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে উপজেলার রামপাল সদর ইউনিয়নের মালিডাঙ্গা গ্রামের বসিন্দা জেলা নিকাহ রেজিষ্টার সমিতির সাধারন সম্পাদক ও ফয়লাহাট কামাল উদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শেখ মো. নাজিম উদ্দিনকে মারপিট, ভাংচুর ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। গত ঈদ-উল আজাহার আগের দিন গত ১৬ জুন সকাল ১০ টায় প্রতিপক্ষ গোবিন্দপুর গ্রামের আলী আকবর (২৫), ওমর ফারুক শেখ (২০) ও মালিডাঙ্গা গ্রামের শেখ মো. তাজিম উদ্দিন বাড়িতে ঢুকে কাজী নাজিম উদ্দিনকে গালিগালাজ করতে থাকে। নাজিম উদ্দিন প্রতিবাদ করলে তারা তার উপর হামলা করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করলে তিনি আহত হন। ওই সময় হামলকারিরা তার বাড়ি সংলগ্ন নিকাহ রেজিষ্টার কার্যালয়ে ঢুকে সরকারি ভাবে সরবরাহ করা নিকাহ ও তালাক সংক্রান্ত যাবতীয় মুল্যবান খাতাপত্র ও কুরআান শরীফ তছনছ করে বলে নাজিম উদ্দিন দাবী করেন। এসময় তারা তার মেয়ের ল্যাপটপ কেনার জন্য রাখা ৮৩ হাজার টাকাও নিয়ে যায়। ঘটনা টের পেয়ে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারিরা চলে যায়।
সরেজমিনে ওই রেজিষ্টার অফিসে গিয়ে দেখা গেছে যাবতীয় আসবাপত্র ও অন্যন্য মালামাল ভাঙ্গচুর করা অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তার ব্যবহার করার মতো তেমন কোনো মালামাল অবশিষ্ট নেই। ভুক্তভোগী নাজিম উদ্দিন জানান, কয়েক মাস পূর্বে আমার শ্যালকরা আমার মৎস্য খামার থেকে মাছ লুট করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমি দেখে ফেলায় আমার পরিবারের সাথে আমার সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরপর থেকে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও জীবন নাশের হুমকি দিচ্ছে। আমি মারাত্মকভাবে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ঘটনার পর আমি আমার স্ত্রী কে তালাক দিয়েছি। তালাকের খবর শুনে তারা রবিবার (২৩ জুন) বিকালে আমার বাড়ীর গেটের ও ঘরের তালা তালা ভেঙ্গে আমার ঘরে প্রবেশ করেছে। আমি রামপাল থানার ওসি সাহেবকে ফোন দিয়ে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছি।
স্থানীয় বেশ কয়েকজন এ ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন এমন তান্ডব আমরা আগে দেখিনি। প্রতিপক্ষরা নাজিম সাহেবকে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আলী আকবর ও ওমর ফারুকের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের সাথে কথা বলা যায় নি। তবে শেখ মো. তাজিম উদ্দিনের মা আয়শা বেগম মোবাইল ফোনে জানান, নাজিম উদ্দিন কে মারধর করা হয় নি। তিনি নিজেই আসবাবপত্র ভাংচুর করে অন্যের উপর দোষ চাপাচ্ছেন।
এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাশ এর সাথে ফোনে কথা হলে তিনি জানান, দুই পক্ষ মারামারি করেছে বলে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।