জামাল উদ্দীন- নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
এম জিয়াবুল হক : চকরিয়ায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনায় ভিডিও দেখে অভিযান চালিয়ে পুলিশ জড়িত চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার (২২ জুন) রাতে চকরিয়া থানা পুলিশের সহায়তায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানা পুলিশের একটি টিম চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাদা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রেফতার দুইজন হলেন পাথর নিক্ষেপকারী চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পহরচাদা এলাকার আবদুল হাকিম এর ছেলে পেয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু (২২) ও আবদুল্লাহ আল নোমান (২২)। গতকাল বিকালে দু’জন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম।
তাঁর আগে ঘটনার বিষয়ে গতকাল রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন রেলওয়ে পুলিশ চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ১৮জুন (মঙ্গলবার) সকালে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেন চকরিয়া উপজেলার বরইতলী এলাকায় পৌঁছালে কয়েকজন যুবক পাথর নিক্ষেপ করেন। এর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
পরে রেলওয়ে পুলিশের একটি টিম চারদিন ধরে চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নে অবস্থান নিয়ে খোঁজখবর নিয়ে তিনজনকে শনাক্ত করে। এরপর অভিযান চালিয়ে পেয়ারু ও নোমানকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম পলাতক আছেন।
পুলিশ সুপার হাছান চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম কক্সবাজার রেললাইন চালু হবার পর সম্প্রতি সময়ে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় চলন্ত ট্রেনকে উদ্দেশ্য করে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা বেশি ঘটছে। পুলিশ সাধ্যমতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাথর নিক্ষেপ থামাতে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রায়ই দেখা যায় ছোট বাচ্চা ও কিশোর বয়সী ছেলেরা মজা বা খেলার ছলে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করে।
এক্ষেত্রে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সচেতন না করলে এটি থামানো সম্ভব নয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রেফতারকৃত পেয়ারুর বিরুদ্ধে চকরিয়া স্টেশন এলাকা থেকে রেলের স্লিপার চুরির ঘটনায় আগে থেকে মামলা রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ঘটনাস্থল গিয়ে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হয়েছি, পেয়ারু মুলত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করেছিল। নোমান তার সঙ্গে ছিল। পেয়ারু এক ব্যক্তির কাছে টাকা পেত। সেটা নিতেই সে রেললাইনে গিয়েছিল। তার সঙ্গে নোমান ও আরিফও ছিল। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে পেয়ারু ওই ব্যক্তিকে পাথর মারেন। সে পাথর গিয়ে ট্রেনে লাগে।’
ওসি শহীদুল ইসলাম বলেন, চকরিয়ায় চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করার ঘটনায় গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। রেলওয়ে থানার এসআই আবুল হোসেন বাদি হয়ে রুজু করা মামলায় গ্রেফতারকৃত দুইজনসহ তিনজন এজাহারনামীয় ও আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত দুই আসামিকে গতকাল বিকালে আদালতের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে
[6/24, 2:50 PM] jamal uddin: কক্সবাজার মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ই-য়া-বা বোঝাই প্রাইভেট কারসহ মা-দ-ক কারবারী চালক আটক!
জামাল উদ্দীন -নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
কক্সবাজার মরিচ্যা যৌথ চেকপোস্টে ২৫ হাজার ৮শ ইয়াবা বোঝাই প্রাইভেট কারসহ উখিয়ার মাদক কারবারী চালক গ্রেফতার করা হয়েছে।
সুত্র জানায়,,২৩জুন ২০২৪ইং রাত সোয়া ৯টারদিকে রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের মরিচ্যা যৌথ চেকপোষ্টে দায়িত্বরত জওয়ানেরা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উখিয়া হতে কক্সবাজারগামী প্রাইভেট কার (চট্টমেট্টো-ছ-৭১-০৪৫০) থামানো হয়। সন্দেহভাজন চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে মাদক পরিবহনে জড়িত না বলে জানান। পরে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশীকালে চালকের সীটের নীচে বিশেষভাবে লুকায়িত অবস্থায় ২৫হাজার ৮শ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হলে মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করে উখিয়া সিকদার বিল গ্রামের মোঃ মোক্তার আহমদের পুত্র চালক পরিচয়ে মাদক কারবারী ইয়াছিন আরাফাত (২১) কে গ্রেফতার করা হয়।
রামু ৩০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান তানজিদ জানান, আটক আসামীকে ইয়াবা এবং অন্যান্য মালামালসহ নিয়মিত মামলার মাধ্যমে রামু থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
[6/24, 2:51 PM] jamal uddin: টেকনাফ হোয়াইক্যং লম্বাবিলে ১লক্ষ ৩০হাজার ইয়াবাসহ মাদক কারবারী র্যাবের হাতে আটক
জামাল উদ্দীন- নিজস্ব প্রতিবেদক কক্সবাজার
র্যাবের ক্রমাগত মাদক বিরোধী অভিযান এবং চলমান গোয়েন্দা তৎপরতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন লম্বাবিল এলাকায় কতিপয় ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা ট্যাবলেট ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন ২০২৪ তারিখ অনুমান ১২.৫০ ঘটিকায় র্যাব-১৫, সিপিসি-২, হোয়াইক্যং ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে পালানোর চেষ্টাকালে আভিযানিক দল মোঃ রিয়াজ উদ্দিন নামে এক মাদক কারবারীকে আটক করতে সক্ষম হয় এবং তার অপর এক সহযোগী র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কৌশলে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত মাদক কারবারীর হেফাজতে থাকা প্লাস্টিকের বস্তা তল্লাশী করে সর্বমোট ১,৩০,০০০ (এক লক্ষ ত্রিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
৩। গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারীর বিস্তারিত পরিচয়-মোঃ রিয়াজ উদ্দিন(১৪), পিতা-আব্দুর রশিদ, মাতা-মোছাঃ নজুমুন নিছা, সাং-লম্বাবিল(আব্দুর রশীদের বাড়ী) ০৩নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ও পলাতক মাদক কারবারী দীর্ঘদিন ধরে ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। তারা নিত্য নতুন অভিনব পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা চালান সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছিল। মাদকদ্রব্য ইয়াবা পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে মজুদসহ ইয়াবার চালান স্থানীয় এলাকায় বিক্রয়ের পাশাপাশি তারা আর্থিকভাবে অধিক লাভবান হওয়ার জন্য কক্সবাজার ও দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করে থাকে বলে জানায়।
৪। উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।