আমির হোসেন,স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের মকসুদপুর গ্রামের নুরুজ্জামান মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অপপ্রচার করার অভিযোগে প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে মুকসুদপুর গ্রামে নুরুজ্জামান মিয়া'র বাড়িতে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৯ এপ্রিল মকসুদপুর গ্রামের মাসুম, তাহমিম গং তুচ্ছ বিষয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। এ ঘটনায় আমি দিরাই থানায় মামলা করি। পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করলেও তাহমিমসহ বাকিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। নুরুজ্জামান বলেন, ওই পলাতক আসামি তাহমিম গত ২১ জুন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মানহানিকর পোস্ট করে। পোস্টে সে উল্লেখ করে, আমরা নাকি তাদের বাড়িতে ডাকাতি করেছি। এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই করতে তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করেন। নুরুজ্জামান বলেন, মাসুম, তাহমিম গং এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। মাদক, ডাকাতি, মুর্তি ভাংচুরসহ একাধিক মামলার আসামী। পুলিশ তাদের এখনো গ্রেপ্তার করতে না পারায় পরিবার নিয়ে আতংকে আছি। করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মুকসুদপুর গ্রামের আব্দুল অজুদ চৌধুরী বলেন, ফেসবুকে তাহমিম চৌধুরী নামের আইডি থেকে তাদের বাড়িতে ডাকাতির অভিযোগ এনে কটূক্তি ও অপপ্রচার করে নুরুজ্জামান মিয়াকে অপদস্ত করা হয়েছে। এগুলো মিথ্যা এবং বানোয়াট। আমরা গ্রামে বসবাস করি। এমন কিছু ঘটলে আমরা দেখতে পেতাম। মকসুদপুর গ্রামের সারজুল মিয়া, আব্দুল ইউছুফ, পরিমল দাস, এলাইছ মিয়া, রায়হান মিয়া বলেন, আমরা এ গ্রামেই বসবাস করি।কারো বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে আমাদের জানা নেই। তারা বলেন দুই আড়াই মাস আগে নুরুজ্জামানের ছেলেকে মাসুম, তাহমিম এবং তাদের লোকেরা কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর থেকে তারা এলাকা ছাড়া। এই মাসুম, তাহমিম গং বিভিন্ন অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মাদক, ডাকাতি, মুর্তি ভাংচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এরআগে গ্রামের লোকজন সম্মিলিতভাবে তাদের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দিরাই থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর আলোচিত এ মামলার এজহারনামীয় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।