মোঃ আব্দুল আজিজ
ভাঙ্গুড়া পাবনা প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় আদালতের রায় অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানায় মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অভিযোগ করেছেন। রফিকুল ইসলাম ঝবঝবিয়া গ্রামের মৃত. ছগীর উদ্দীনের ছেলে ও মন্ডতোষ ইউনিয়নের দহপাড়া স:প্র: বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
জানা যায়, প্রথম পক্ষের আলমগীর গংয়ের পিতা ছগীর উদ্দীন বেঁচে থাকা কালীন দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে রফিকুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম ও স্ত্রী রমেলা খাতুন কে আনুমানিক সাড়ে ১৪ বিঘা জমি দলিল করে দেন । পরবর্তীতে মো: আনোয়ার হোসেন, মো: আলাউদ্দিন, মো: আলমগীর হোসেন ও আলামিন বাদী হয়ে দলিল বাতিলের জন্য পাবনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। যাহার (নং ৩৮৭/২০) মামলা চলমান থাকা অবস্থায় আনোয়ার হোসেন গং প্রভাবশালী হওয়ায় জবরদখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ও রুমেলা খাতুন বাদী হয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পাবনা বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন মামলা( নং ২০২১/২১)। পাবনা আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো: তৌহিদুল ইসলাম ২০২২ সালের ফেব্রয়ারী মাসে এ উচ্ছেদ মামলায় রফিকুল ইসলাম গংদের পক্ষে রায় দেন। আদালতের রায়ে অবৈধ দখলদার মো: আনোয়ার হোসেন গংদেরকে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। বিজ্ঞ আদালতের এ আদেশের প্রেক্ষিতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: মামুন সরকারের নেতৃত্বে এ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে লাল নিশান পুতে জমির মালিককে অবৈধ দখলদারদের কবল থেকে ২১৮১ হাল দাগে ১৮ শতকের কাতে ১৬শতক ও ২১৮২ হাল দাগে ২৯ শতকের কাতে ২৪ শতক মোট ৪০ শতক জমি বুঝে দেন।
আরো জানা যায় রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই সফিকুল ইসলাম চাকুরির সুবাদে নিজ বাড়ী হইতে ভাঙ্গুড়া থানাধীন পৌর সদরের ৫নং ওয়ার্ডের কুমড়া ডাঙ্গা মহল্লায় ভাড়া বাসায় থাকেন।সেই সুযোগে আনোয়ার গং পূনরায় জমিজমা জোর পূর্বক বেদখল দেওয়ার জন্য পাঁয়তারা করে আসছে।পারিবারিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রায ৪ (চার) লক্ষ টাকা খরচ করে সিসি ক্যামেরা আওতায় আনেন। সেই সিসি ক্যামেরা গত ২৩/০৬/২০২৪ ইং তারিখ সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে বিবাদীরা জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং দেশীও অস্ত্র দিয়ে জমিতে দেওয়া বাঁশের ঘেরাবেড়া কেটে জবরদখল করে। এবং তাদের দুই ভাইকে যেখানে পাবে সেখানে মেরে ফেলবে বলে হুমকি প্রদান করে আসছে।এবিষয়ে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই সফিকুল বারবার থানায় লিখিতভাবে অভিযোগ করে কোন প্রতিকাতো পাননি বরং আনোয়ার হোসেন গং উলটো পুলিশ দিয়ে তাদের হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আলমগীর হোসেন কোন স্বদ উত্তর দিতে না পেরে আমি গাড়ি চালাচ্ছি, পড়ে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।
ঘটে যাওয়া ঘটনা সম্পর্কে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হক বলেন, আমি কোন অভিযোগ হাতে পায়নি,পেলে ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।