মো:মেহেদী হাসান ফুয়াদ
দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি
দিনাজপুর শহরের মাতাসাগর (হিন্দুপাড়া) এলাকার ২ সন্তানের জননী গৃহবধু মোছাঃ নাসরিনের মৃত্যুরহস্য নিয়ে এলাকায় এবং পরিবারের সদস্যদের মাঝে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে পরিবারের পক্ষে থেকে একজাহার দায়ের করা হলেও থানা কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত তদন্তে আসেন নি।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় দেওয়া এজাহার সূত্রে ও তার পরিবারের সদস্যরা জানায়, গত ৫ বছর পূর্বে রাজবাটী সবজিবাগানের বাসিন্দা আব্দুস ছাত্তারের কন্যার সাথে মাতাসাগর (হিন্দুপাড়া) মহল্লার মোঃ এলাহির পুত্র ঢাকায় বাবুর্চি কাজে কর্মরত মোঃ আমিনুল ইসলামের সাথে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতকলোভী স্বামী বিভিন্ন অজুহাতে স্ত্রী নাসরিনকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল। আমিনুল ও তার পরিবারের লোকজন ৩ লক্ষ টাকার জন্য প্রতিনিয়ত নাসরিননের উপর শারীরিক চালিয়ে আসছিল। গত ২৬ জুন আমিনুল ইসলাম রাত ১০টায় নাসরিনের বাড়িতে ফোন করে জানায়, নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়েছে। তোমরা তারাতারি চলে এসো। সংবাদ পেয়ে নাসরিনের বাবা, ভাই এবং বোন গিয়ে দেখে নাসরিনকে নিচে শুইয়ে রাখা হয়েছে এবং সে জীবিত রয়েছে। তারা দ্রুত অটোতে করে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ জুন নাসরিন মারা যায়। এব্যাপারে সরকারিভাবে একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়। যার নং-৭৮/২০২৪ইং। এছাড়া মৃত: নাসরিনের ভাই সেলিম রেজা বাদী হয়ে নাসরিন হত্যার সাথে জড়িত সন্ধেহে স্বামী আমিনুল ইসলামসহ ৬ জনকে আসামী করে একটি এজাহার দায়ের করে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায়। নাসরিনের পরিবারের সদস্য ও মামলার বাদী তার ভাই মোঃ সেলিম রেজা জানায়, আমরা ইতিমধ্যে কোতয়ালী থানা কর্তৃপক্ষ, পুলিশ সুপারের সাথে সাক্ষাত, মেডিকেলের ডাক্তার, পল্লীশ্রী’র সাথে দেখা করে বিষয়টি তদন্ত করে বিচার প্রার্থনা করেছি। বাদী সেলিম রেজা, গৃহবধু নাসরিনের পিতা আব্দুস সাত্তার, বোন রাশেদা খাতুন, আঞ্জুমান আরা ও ভগ্নিপতি মোঃ নাজমুল হক সাংবাদিককে বলেন, আসামীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।