আজ ২রা জুলাই মঙ্গলবার, কলকাতার ধাপা মাঠপুকুরের মোবিল কারখানায় আগুন, দুপুর সাড়ে ১১ টা নাগাদ, জানা যায় প্রচুর ধার্য পদার্থ থাকায় আগুন লাগে, পরিবেশের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে যায় গোটা কারখানায়, খবর দেওয়া হয় ফায়ার ব্রিগেড ও থানায়।
সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের আটটি ইঞ্জিন এবং থানার অফিসারেরা, প্রাথমিক অনুমান ধার্য পদার্থ থেকে আগুন লাগে এবং আগুনের গতি এতটাই তীব্র, এলাকা গোটা কালো ধোঁয়ায় ভর্তি হয়ে যায়।
থানার ভেতর যে রাসায়নিক গুদাম, আগুন সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়, দমকলের গাড়ি আসার আগেই আগুন বিধ্বংসী আকার ধারণ করে, এবং এলাকাটি জনবসতিপূর্ণ থাকায়, সকলের মনে ভয়ের সঞ্চার হয়, দমকলের অফিসারেরা এবং পুলিশ প্রশাসনেরা পাশাপাশি বাড়িতে গিয়ে সকলকে বাইরে বের করে দেন, কারণ যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে ঝড়ো হাওয়া থাকায় আগুন তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ছে। শুধু তাই নয় আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি কারখানার পাশাপাশি যে সকল তার গাছপালা ছিল সেগুলিও পুড়ে যায়, শুধু তাই নয় কারখানার উপরে যে টিনের সেট আগুনের তীব্রতায় সেগুলো গলে যাচ্ছে একের পর এক।
আগুন নিভাতে আটটা ইঞ্জিন কাজ করলেও আগুন আয়ত্তে আনা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে, দমকলের অফিসারেরা হিমশিম খাচ্ছেন আগুন নেভানোর কাজে, সকলের মনে একটাই ভয় কোনো কারণে যদি পাশাপাশি বাড়িতে লেগে যায় তাহলে আরো ভয়ানক বিপদ ঘটতে পারে, কারণ প্রত্যেকের বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, তাহলে এলাকায় থাকা দুঃসাধ্য হয়ে পড়বে,
দমকলের অফিসাররা যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন আগুন আয়ত্তে আনার এবং যাতে কোনোভাবে বাড়িতে ছড়িয়ে না পড়ে , তারা তীক্ষ্ণ নজর দিয়ে নেভানোর চেষ্টা করছেন। তবে এটুকু জানা যায় কারখানার মধ্যে প্রচুর ধার্য্য পদার্থ থাকায় আগুন লাগে। তবে পাশাপাশি বাড়ির সকল মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কলকাতায় আবারো ভয়ংকর অগ্নিকাণ্ড , পরপর ঘটে চলেছে একের পর এক এক অগ্নিকাণ্ড, এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আগামীকাল একটি অনুষ্ঠানে দমকল মন্ত্রী সুজিত ঘোষ, সকল ব্যবসায়ী এবং কলকারখানার মালিকদের উদ্দেশ্যে, এমনকি যাহারা বড় বড় বিল্ডিং তৈরি করছেন, তাহাদের উদ্দেশ্যে বারবার একটা কথাই বলেছেন, আপনারা ব্যবসা করুন, বিল্ডিং করুন, কলকারখানা করুন, সাধারণ মানুষদের পেটের অন্য যোগান, বাংলায় ব্যবসা গড়ে তুলুন, কিন্তু একটা জিনিসের উপর নজর রাখতে হবে, অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা, যেন প্রাণহানি না ঘটে, আমি আপনাদের পাশে আছি, যদি কোন রকম কোন অসুবিধা হয় ,আমার কাছে আসবেন ,আমি নিশ্চয়ই আপনাদের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব, কিন্তু নিয়ম মেনে কাজ করুন, সমস্ত কিছু নিরাপদের ব্যবস্থা করুন, সামান্য ত্রুটি যেন বড় আকার ধারণা করে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস, কলকাতা