1. Jahidksb@gmail.com : Jahid Hasan : Jahid Hasan
রামপালের ফয়লাহাট চিংড়ি পোনার আড়ৎ - খবর সকাল বিকাল - Khobor Sokal Bikal    
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
নওগাঁয় প্রথম আলো ট্রাস্টের দেওয়া অসহায় গরীব ১৬০ জন কম্বল পেয়ে মুখে হাসি নরসিংদীর সাবেক এমপি পোটনকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত পাইকগাছায় জামায়াতের ইসলামীর আমীরে ডাঃ শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে র‍্যালি ও পথসভা বরিশালের বিভিন্ন জেলা উপজেলা লাইসেন্স বিহীন ফার্মেসি, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ গাজীপুর জেলা পেশাজীবী সাংবাদিক পরিষদের আত্মপ্রকাশ লালপুরে গ্রীন ভয়েসের কমিটি গঠন, সভাপতি সজিবুল- সম্পাদক আল আমিন কাঠালিয়ায় সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতার দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের সংবাদ সম্মেলন মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও অপরাধ সভা অনুষ্ঠিত এ তুফান ভারী, দিতে হবে পাড়ি ময়মনসিংহে বিভাগীয় উন্নয়ন সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

রামপালের ফয়লাহাট চিংড়ি পোনার আড়ৎ

প্রতিবেদকের নাম:
  • প্রকাশিত: বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ২৮ বার পড়া হয়েছে

———————
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কারণে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে ক্রেতারা

হারুন শেখ বাগেরহাট জেলা সংবাদদাতা ।।

প্রতারনা করে ক্রতাদের ঠকানোর কারণে চিংড়ি চাষিরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। দেশের সর্ব বৃহৎ চিংড়ি পোনার আড়ৎটি বাগেরহাটের রামপাল উপজলার ফয়লাহাটেই অবস্থিত। এক সময় এ পোনার আড়তের সুনাম দেশব্যপি ছড়িয়ে পড়লেও প্রতারকদের কারণে এখন সেই সুনাম ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে বলে বেশিরভাগ আড়ৎ মালিকেরা অভিযাগ করেছেন।

জানাগেছে, দক্ষিনাঞ্চলে লবন পানিতে ১৯৮০ সালের দিকে বানিজ্যিকভাবে বাগদা ও গলদা চিংড়ির চাষ শুরু হয়। চিংড়ি চাষের পোনার যোগান দিতে নদী ও সড়ক পথের উপর নির্ভর করে বাগরহাটের ফয়লাহাট গড়ে ওঠে চিংড়ি পোনার আড়ৎ। ওই সময় হাতে গোনা কয়েকটি আড়ৎ গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে আড়তের সংখ্যা বেড়ে যায়। এখন বর্তমানে অর্ধশত পোনার আড়ৎ থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি চিংড়ির পোনা বিক্রি হয়ে থাকে।

সুন্দরবন পোনার আড়তদার হাওলাদার জুলফিকার আলী, হাওলাদার পোনার আড়তদার আলহাজ্ব সেলিম হাওলাদার, বিসমিল্লাহ পোনার আড়তদার আলহাজ্ব রেজাউল করিম, প্রমি পোনার আড়তদার মো. মনিরুজ্জামান, শাহাজালাল পোনার আড়তদার মিজানুর রহমান, মায়েরদোয়া পোনার আড়তদার কোহিনুর ইসরাম মুক্ত, গাজী পোনার আড়তদার বাবুল গাজী অভিযোগে জানান, আড়তের শুরু থেকে ব্যবসা করে আসছি, তখন পোনা বিক্রি নিয়ে কোনো অভিযোগ ছিল না। এখন এ পোনার আড়তে একদল প্রতারক ঢুকে পড়ায় আড়তের যতো সুনাম ছিল তারা তা নষ্ট করে ফেলেছে। স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙ্গিয়ে এক ব্যক্তি নতুন একটি প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছে। তারা পোনা ব্যবসার নামে ক্রেতাদের ঠকিয়ে লাভবান হচ্ছে। প্রতারক চক্র আড়তের সামনে পলিথিনের পলিতে তিন হাজার পোনা নিয়ে বসে থাকে। ক্রেতারা এলে প্রথমে সেই তিন হাজারের পোনার পলি দেখানা হয়। এরপর দরদাম ঠিক হলে ভিতরে থাকা কচটেপ দিয়ে আটকানো কার্টুন এনে দিয়ে বলা হয় এ কার্টুনেও তিন হাজার পোনা আছে। গগনা না করে ক্রেতারা সরল বিশ্বাসে সেই কার্টুন কিনে নিয়ে যান। পরে ওই পোনা ঘেরে অবমুক্ত করার আগে গগনা করে দেখা যায় মাত্র তিন থেকে চার’শ পোনা রেয়েছে কার্টুনের পলিতে ! এভাবে বছরের পর বছর ওই প্রতারক চক্রটি সাধারন ঘের মালিকদের ঠকিয়ে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে তেড়ে আসে। এ প্রতারক সিন্ডিকেটের সাথে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। অনেকে পোনা কিনে ঠকে আড়ৎ মালিক সমিতির কাছে বিচার দিলেও কেউ বিচার পেয়েছেন এমন নজির নেই। আর এ কারণে দিন দিন এ আড়তের পোনা ক্রেতার সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে আড়তের বেশ কয়কজন ব্যবসায়ী শ্বীকার করেন। তারা প্রতারক চক্র ঠেকাতে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক ও এমপি হাবিবুন নাহারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদর মাসিক আইন শৃংখলা কমিটিে তোলা হলেও কোন প্রতিকার পাননি ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের কার্টন পোনা সরবরাহকারী ব্যাবসায়ী আবু তালেব, আ. রাজ্জাক, মো. শফিউদ্দিন ও মো. নুরুদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, এ আড়তে পোনা নিয়ে আসার পরে কার্টন খুলে পলিতে বেশী মাছ ঢুকিয়ে সেই পলির পোনা দেখায় প্রতারক চক্র। এ ছাড়াও গলদার রেণু পোনার বদলে এক ধরণের চোচ পোনা গলদার রেণু বলে বিক্রি করে চক্রটি। কম পোনার কার্টনগুলো কৌশলে বেশী সংখ্যক পোনা আছে এমন কথা বলে চালিয়ে দেয়।

অনুসন্ধানে সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মামুন শেখ, মহিবুল্লাহ শেখ, সুজন দাস, জাহিদ শেখ, মোস্তফা গাজী,বাদশা দাই, এস্তেহার মোল্লা, মোস্তাক শেখ, জাহিদ শেখ ও রিপন দাস ওই প্রতারক চক্রের সাথে জড়িত রয়েছে। তবে সরোজমিনে গিয়ে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে আড়তদার সমিতির আহবায়ক হাওলাদার মুজিবুর রহমানের মুৃঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। সমিতির সদস্য সচিব হাওলাদার আ. সালামের ফোনে রিং হলেও তিনি রিসিভ করেননি। যে কারণে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
ব্যাবসায়ীরা তাদের ব্যবসার স্বার্থে খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আ. খালেক এবং স্থানীয় সংসদ হাবিবুন নাহার এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো সংবাদ পড়ুন
© ২০২৪  সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি