নিজস্ব প্রতিবেদক
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মামলার বাদীকে অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টা ৪/৬/২৪ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার মামলার বাদী মোসাঃ সালমা আক্তার , মামলার কার্যক্রম শেষ করে কুমিল্লা আদালত থেকে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড আসে গাড়ি করে বাড়ি ফেরার জন্য, পথে গাড়ির ড্রাইভার, কন্টাকটার ও মামলা আসামিরা মামলার বাদি সালমা আক্তার কে অপহরণ করে ধষর্নের পর হত্যা করার পরিকল্পনা তৈরি করে এমন একটি অভিযোগ মামলার তথ্যে পাওয়া গেছে।
মামলার বাদী সালমা আক্তার কুমিল্লা দাউদকান্দির থানায় ২০/৬/২৪ তারিখের একটি মামলা করেন যাহার মামলার নাম্বার জি,আর ১৭৩ , মোসাঃ সালমা আক্তার একজন সংবাদ কর্মী,তাহমিদ হাসান সালমা আক্তারের ছেলে , বিগত ৩১/৫/২০২২ইং তারিখে অভিযুক্ত আসামিরা ৪ জন, স্বপন, সাহিনা, হেদায়েত, সোহাগ, সকলে এক হয়ে মিলে, পূর্ব শত্রুতার যের ধরে, তারা সালমা আক্তার এর বাসা থেকে খাবার খাওয়া অবস্থায় তার ছেলে তাহমিদ হাসান কে মায়ের কথা বলে সালমা আক্তার এর অনু উপস্থিতে খাবারের লোভ দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায় তার ছোট্ট ছেলে তাহমিদ হাসান (৬) কে, পরবর্তীতে আসামিরা তাহমিদ হাসানকে চলন্ত একটি তিশা বাসের নিচে হত্যার উদ্দেশ্যে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়, এতে ছোট্ট শিশু তাহমিদ হাসানের মাথা ফেটে যায়, বাম চক্ষু বের হয়ে যায়, দাঁতের মাড়ি ভেঙ্গে যায়, ভেঙে যায় বাম হাত, ভেঙে যায় বাম পা, ভেঙে যায় পুরো শরীরের বাম অংশ, ভেংঙে ঘুরে মুচরে থেতলে যায়, পরবর্তীতে সালমার ছেলে তাহমিদ কয়েক মাস মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে কোন ভাবে আল্লাহর প্রাণ ফিরিয়ে দেয় তাহমিদ না মরে বেঁচে যায় , কিন্তু তাহমিদ এর এই পর্যন্ত ৪টা অপারেশন হয়েছে, গত ২৬ /৫/২০২৪ইং তারিখ আরো একটি অপারেশন হয়, এখনো দীর্ঘ তিন বছর ধরে তাহমিদ এর (৮,) চিকিৎসা চলছে, এই ঘটনা ক্রমে কুমিল্লা আদালতে সালমা আক্তার অপহরন ও হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন ৪ জনকে আসামি করে,, যার মামলা নাম্বার ৪২০/০২২ইং ঐ দিন ৪২০ মামলার ৪/৬/২৪ইং তারিখ ছিল ৪২০/০২২ইং মামলা এখন চার্জ গঠনের জন্য রয়েছে, এই মামলার ও সংবাদ এর কাজ শেষ করে মামলার বাদি সালমা দাউদকান্দি যাওয়ার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড হইতে, রাতঁ ৯টায় সময় গাড়িতে উঠে , গাড়িতে উঠার সময় কন্টাকটার ও ড্রাইভারকে বলে যে, আমি দাউদকান্দি বিশ্বরোড নামবো আপনারা আমাকে আমার যথার্থানে নামিয়ে দিবেন,কিন্তু মামলার আসামিরা তাদের সালমার দায়ের কৃত আরেকটি মামলার তারিখ ৫ /৬/২০২৪ইং তারিখ থাকায় সালমার পিছু নেয়, এবং ঐ তারিখে সালমার দায়ের কৃত মামলা চার্জ গঠনের জন্য রয়েছে বিদায়, সালমা যাতে ঐ তারিখে উপস্থিত হইতে না পারে, এইজন্য তারা আগে থেকে পরিকল্পনা তৈরি করে সেই অনুযায়ী গাড়ির ড্রাইভার ও কন্ট্রাকটার হেলপার এর যোগসাজসে সালমাকে অপহরণ করার পর, আসামিরা সালমাকে দর্ষন ও হত্যা করবে বলে যানা গেছে , বর্তমানে থানার মামলাটি চলমান মামলার আইয়ু ইন্সপেক্টর হাবিব খান বলেন আসামি ধরতে পারি নাই, কারন আসামিরা খবর পেয়ে পলাতক আছে তবে আমরা আসামি গ্রেফতার চেষ্টা করছি।
এমন অবস্থায় গাড়ি গৌরুপুর স্থানে এসে পৌঁছেলে, এরপরের স্টেশন হলো দাউদকান্দি বিশ্বরোড সেখানে নামবে সালমা,এই বিষয় সালমা আক্তার কন্টাকটার কে আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিল যেখানে নামার কথা কিন্তু গাড়ির ড্রাইভার গৌরিপুর থেকে গাড়ি আরো ফুল স্টারটে চালাতে থাকে,, গাড়িতে উঠে সালমা আক্তার যেখানে নামবে বলেছিল সেখানে গাড়ি না থামায়ি গাড়ির ড্রাইভার আরো দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে শুরু করে, এবং যেখানে নামার কথা সেখানে না নামিয়ে অন্য স্থানে নিয়ে যায়, পরবর্তীতে মামলার বাদি সালমা আক্তার ড্রাইভার কন্টাকটার ও আসামিদের সাথে দস্তা দোস্তি করে ড্রাইভারে হাত থেকে গাড়ির চাবি কেড়ে নিয়ে যায় , ওই মুহূর্তে গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে সালমা আক্তার কৌশলে গাড়ি থেকে নামতে চেষ্টা করিলে আসামিরা এসে সালমা আক্তার কে গাড়ি থেকে নামতে না দিয়ে ধর্ষন করার চেষ্টা করে, পরবর্তীতে সালমা আক্তার চিৎকার করিলে ঘটনাস্থলের লোকজন এসে সালমা আক্তার কে উদ্ধার করে এক নং আসামীকে আটক করে, আর বাকি আসামিগণ ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়,
আরো উল্লেখ্য যে, ১৬/৫/২০২২ইং তারিখে আসামি স্বপন সরদার সালমা আক্তারের বাসায় ডাকাতি করতে গিয়ে, সালমা আক্তার কে জোরপূর্বক দর্শন করে ,তখন এই ঘটনা আসামি স্বপন সরদারের বিরুদ্ধে নারিশিশু ৯/১ এর মামলা দায়ের করে, বাদি সালমা আক্তার, আসামি স্বপন সরদারের বিরুদ্ধে নারী শিশু ৯/১ এর মামলা দায়ের করায়, আসামি স্বপন সরদার সাহিনা সোহাগ হেদায়েতুল সকলে মিলে সালমা আক্তারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে সালমা আক্তার ২৫/৫/২০২২ইং তারিখে নারীশিশু ৯/১ এর মামলার দায়ের করিলে আসামিরা একত্রে মিলে ৩১/৫/২০২২ইং তারিখে মাত্র ছয় দিনে ডিফারেন্সে সালমা আক্তারের ছোট্ট ছেলে তাহমিদ কে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করে, এখন পর্যন্ত আসামি স্বপন সর্দার একের পর এক সালমা আক্তারের ক্ষতি করেই যাচ্ছে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় নিয়ে আসা হোক। এবং সালমা আক্তারকে তার ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে অবাধে চলাফেরা করার নিশ্চয়তা প্রদান করা হোক।