আজ ৪ঠা জুলাই , ঠিক দুপুর দুটোয়, ক্লিকের উদ্যোগে এবং গল্প, চিত্রনাট্য ,চিত্রগ্রহণ, আবহসংগীত, সম্পাদনা রংবিন্যাস এবং পরিচালনায় অর্ণব রিংগো ব্যানার্জীর গা ছমছম রহস্যময় গল্প, এবং ক্লিকের ৩৮ তম ওয়েব সিরিজ..... মিল্কশেক মার্ডার .... এর ট্রেলার ও পোস্টার লঞ্চ করল। সল্টলেক, গ্লোবশান ক্রিস্টাল বিল্ডিং এর Refinery 091 তে , প্রায় সব রকম মিলিয়ে ৪০টি ও বেশি ওয়েব সিরিজ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে, এবার ও তারা মানুষকে একটি নতুন উপহার দিতে চলেছেন , সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক স্তরের ওয়েব সিরিজ, যা আগে কখনো হয়নি। সারা থাইল্যান্ড জুড়ে এই ছবির শুটিং, এবং প্রতিটি প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে সাহস ও মনোবল নিয়ে এই ছবি কাজ শেষ করেছেন। যা দর্শকদের মুগ্ধ করবে আশা করা যায়। পরিচালক থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী এরা চেষ্টা করেছেন নতুন কিছু উপহার দেওয়ার। অভিনয়ের মধ্য দিয়ে।
এই ছবিটিতে অভিনয় করেছেন, এই প্রথম ওয়েব সিরিজে অভিনেতা নীল ভট্টাচার্য, অভিনেত্রী তৃণা সাহা, অভিনেতা সৌরভ দাস ও জয়ী দেব রায়, এছাড়াও অভিনয় করেছেন, অলোক সান্যাল, তপস্যা দাশগুপ্ত ,জয়ন্ত মন্ডল, রানা মুখার্জী, অগ্নিভ জুন ব্যানার্জী, অঙ্কিতা রায় ,চয়ন দে, সহেলি মন্ডল।
প্রযোজক ঐন্দ্রিলা ব্যানার্জী, সাউন্ড ডিজাইন তীর্থঙ্কর মজুমদার, সহযোগী পরিচালক প্রতীক রায় ,সহকারী পরিচালক মনি শংকর দেবনাথ ,অগ্নিভ ব্যানার্জী, আর্ট ডিরেক্টর সুভারতী বিশ্বাস ,মেকআপ রাজদীপ, পোশাক পরিকল্পনায় নন্দিনী সেনগুপ্ত এবং যিনি সবাইকে নিয়ে এগিয়ে চলার চেষ্টা করেন, কিছুটা আনন্দ দেয়ার চেষ্টা করেন গণমাধ্যম প্রচার মার্কেটিং রানা বসু ঠাকুর। এবং ডিএফএক্স এ রজত দলুই।
এই রোমহর্সক থ্রিলারটি পাঁচটি এপিসোডের, এই সিরিজে তুলে ধরেছেন পরিচালক অর্ণব রিংগো ব্যানার্জী, মনোজগতের দ্বন্দ্ব বনাম অস্তিত্ব রক্ষার লড়াইকে কেন্দ্র করে এবং একটি মাস্টার্স স্ট্রোক খুন আতর্ক এবং মিল্কশকের এক রহস্যময় মেলবন্ধন নিয়ে, জানাযায় এটি ১৯ শে জুলাই ওটিটি প্লাটফর্মে মুক্তি পাবে। ছবিটি সম্পূর্ণ থাইল্যান্ডকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে, যে গল্পটির মধ্যে রয়েছে অপূর্ব সুন্দর বৈচিত্র্যের মাঝে, প্রেম ,প্রতারণা,রোমহর্ষক কাহিনীর বিস্তার।
সাহিত্যের জগতের আলো-আঁধারী নিয়ে বিশেষত আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থার প্রেক্ষাপটে গড়ে উঠেছে কাহিনীটি। শুরুতেই দেখা যায় একজন সুপুরুশ ব্যক্তি কে , ব্যর্থ লেখক তিনি , থাইল্যান্ডের পাটায়াতে থাকেন ,বহুবার চেষ্টা করছেন বড় প্রকাশক কে দিয়ে বই ছাপানো, প্রতিবারই তিনি প্রত্যাক্ষিত হয়েছেন, বিরক্ত, হতাশাগ্রস্ত লেখক চলে যায় ফিফি দ্বীপে, কিছুটা সবার থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ,অকস্মাৎ সেই সমুদ্রটতে তার সঙ্গে এক বিচিত্র ব্যক্তির দেখা হয়ে যায়। ভদ্রলোক বাঙালি ,খানিকটা পাগলাটে, প্রবাসে দুই বাঙালির বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে সময় লাগে না। কথায় কথায় জানতে পারেন ,লেখক ওই পাগলটা লোকটির প্রথম লেখা বইটি একজন নামজাদা প্রকাশনা শুধু চাপছে নয় ,একটা বড় অংক দিয়ে ছাপছে এবং আন্তর্জাতিক স্তরে একটি প্রকাশনার সাথে তার চুক্তি হয়েছে।।
শুরু হয় গল্পের মোর, চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে, পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে। পরের দিন দুজনে সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যায় একসাথে, সেখানে লেখককে পান্ডুলিপিটি পড়তে দিয়ে ওই পাগলাটে ভদ্রলোক সমুদ্রে স্নান করতে নামেন। আর সেখান থেকে তিনি সমুদ্রের নিখোঁজ হয়ে যান। ব্যর্থ লেখক এর হাতে পান্ডুলিপি, নিরিবিলি নিঝুম সমুদ্র সৈকতে আশেপাশে নেই কোন প্রত্যক্ষদর্শী। এইসব মিলিয়েই এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বের পরিস্থিতি শুরু হয়। আর এই রোমহর্সক ওয়েব সিরিজ দেখতে গেলে , অতি অবশ্যই ক্লিকের ওটিটি প্ল্যাটফর্মে ক্লিক করতে হবে।
রিপোর্টার, সমরেশ রায় ও শম্পা দাস , কলকাতা