জামাল উদ্দীন -কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি :
কক্সবাজারের টেকনাফে ৮২ বছর বয়সী বৃদ্ধা নারী জাহেরা খাতুন হত্যাকান্ডের মূলহোতা সৈয়দ হোসন মানুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার আসামির স্বীকারোক্তিমতে চোরাইকৃত স্বার্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। এর আগে এই হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে অভিযান পরিচালনা করে টেকনাফ সদর ইউপির মহেশখালীয়াপাড়া এলাকা থেকে আসামি সৈয়দ হোছাইন মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি ।
তিনি জানান,গ্রেপ্তারের পর ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদের এক পর্যায়ে আসামি ছৈয়দ হোসন মামুন স্বীকার করে যে, সে সহ তার স্ত্রী ও অন্যান্য সহযোগী আসামিরা মিলে ভিকটিম জাহেরা খাতুন'কে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয় এবং ভিকটিমের লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে মৃত ভিকটিমকে হাত পা বেঁধে একটি প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে আসামি ছৈয়দ হোসন মামুনের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে জলাশয়ে ফেলে দেয়। গ্রেপ্তার আসামি ছৈয়দ হোসন মামুন আরো জানায়, মৃত ভিকটিম জাহেরা খাতুনের শরীরে থাকা স্বর্ণালংকার সমূহ টেকনাফের লামার বাজারস্থ অংছিং মার্কেটে অবস্থিত চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। পরে আসামির প্রদত্ত স্বীকারোক্তি মতে ধৃত আসামিকে সাথে নিয়ে লামার বাজারস্থ অংছিং মার্কেটের চাম্পা জুয়েলার্স নামক দোকানে অভিযান পরিচালনা করেন পুলিশ। ওই দোকান থেকে মৃত ভিকটিমের ব্যবহৃত ১২ আনা ওজন একটি স্বর্ণের চেইন, ৬ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল, একটি টি ৫ রত্তি ওজনের নাকফুল এবং ৩ আনা ওজনের কানের চেইন'সহ সর্বমোট ১ ভরি ৭ আনা ৫ রত্তি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে গত সোমবার (১ জুলাই) টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের রুহুল্লার ডেবা সাকিনস্থ ছৈয়দ হোসন মামুনের বসতঘরের ভেতর ভিকটিম জাহেরা খাতুনকে আসামি মামুন,হাফেজ আহমদ ফকির,আব্দুল মতলব ও মাইমুনা আক্তারসহ পরস্পর যোগসাজশে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য হাত, পা বেধে প্লাস্টিকের বস্তায় করে আসামি মামুনের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে জলাশয়ে ফেলে দেয় এবং ভিকটিমের ৩ ভরি ৮ আনা ওজনের স্বর্নলংকার ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষনিক টেকনাফ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি প্লাস্টিকের বস্তার ভেতরে হাত পা বাঁধা অবস্থায় আসামি ছৈয়দ হোসনের বসতঘরের দক্ষিণ পাশে জলাশয় হতে ভিকটিম জাহেরা খাতুনের মৃতদেহ উদ্ধার পূর্বক সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয় এবং হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি।