আব্দুল মজিদ (স্টাফ রিপোর্টার)সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেছেন, কাজিপুর উপজেলার যে সব এলাকায় যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে সেইসব এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া, খাসরাজবাড়ী ও চরগিরিশ এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও এবং টিও ব্যাগ ফেলে নদীভাঙনরোধে কাজ শুরু করা হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলার যমুনা নদীর ডানতীরের প্রায় এলাকাতেই ইতোমধ্যেই স্থায়ী কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো কাজিপুর সুরক্ষায় সাড়ে আটশ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাবনায় রয়েছে, সেটির কাজ সম্পন্ন হলে পুরো কাজিপুরের ডানতীর নদী ভাঙন থেকে সুরক্ষিত হবে। সরকার সবসময় নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের খোঁজখবর রাখছেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে, মন্ত্রী পরিষদ সচিবালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তর থেকে সবসময় নদী তীরবর্তী মানুষের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন, বন্যার পানি থেকে আপনাদের শিশুদের দূরে রাখবেন, কোনও ধরনের গুজবে কান দেবেন না, বাইরে থেকে কাজিপুরে বেড়াতে আসা পর্যটকরা অবশ্যই লাইফ জ্যাকেট ব্যবহার করবেন।
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকাল চারটায় উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের চরাঞ্চলের যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন, মেঘাই নৌবন্দর, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ নাসিম পর্যটন কেন্দ্র, শহীদ এম মনসুর আলী ইকোপার্ক ও ঢেকুরিয়া বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ পরিদর্শন কালে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহরাব হোসেন, কাজিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আব্দুল মজিদ সহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা।
মাইজবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শওকত হোসেন জানান, নদী ভাঙনে মাইজবাড়ী ইউনিয়নের চর মাইজবাড়ী, মাইজবাড়ী, হাটগাছা, মল্লিকপাড়া সহ কয়েকটি গ্ৰাম নদীগর্ভে প্রায় বিলিন হয়েছে। অনেক পরিবার এখন নি:স্ব হয়েছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, নদীর পূর্বপাড়ে চর জেগে উঠার কারণে প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের জন্য নদীতে খনন কাজ চলছে। ভাঙ্গন রোধে কাজ করা হচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা চিহ্নিত করে জিও ব্যাগ ভর্তি বালির বস্তা ফেলে হচ্ছে।