তপন দাস, নীলফামারী প্রতিনিধি
অবশেষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলেন ইমাম কারি আবুল হোসেন (৬৪)।
নীলফামারীতে চোখে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে কুপিয়ে জখম করা আহত অবস্থায় মারা যান তিনি।
শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
নিহত আবুল হোসেন সদর উপজেলার লক্ষ্মীচাপ ইউনিয়নের সহদেব বড়গাছা এলাকার মালুটারি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন এর ছেলে।
এবং নিহত আবুল হোসেন সদর উপজেলার পলাশবাড়ী ইউনিয়নের কানাইকাটা তেঁতুলতোলা ঘুন্টি জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব ছিলেন ।
উল্লেখ্য গত সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫ টার দিকে নীলফামারী - ডোমার এশিয়ান হাইওয়ের সড়কের হরতকি তলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এর সামনে পিছন দিক থেকে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে ঘাড়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মরিচের গুড়া ছিটিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায় দুর্বত্তরা।
রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখে একজন অটোরিকশা চালক তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় ।
সেখানে তার অবস্হার অবনতি হলে সেদিনেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এবং সেখানে তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং আজ সকালে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এবিষয়ে নিহত আবুল হোসেন এর পরিবারের লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন গত সোমবার থেকপ সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন , আজ সকালে আমাদের সকলকে এতিম করে দুনিয়া থেকে চলে গেলেন ।
কে বা কাহারা এই নির্মম ভাবে আমাদের বাবাকে কুপিয়ে জখম করেছে তা আমরা জানি না আর আমার বাবা তো কারো কোন ক্ষতি করে নি বা কোন অপরাধী ও ছিলেন না।
কেন তারা এমন ঘটনা ঘটালো এটার সুষ্ঠ বিচার চাই আমরা সরকারের কাছে ।
এদিকে এবিষয়ে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ তানভিরুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন কি কারনে কে বা কাহার এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো পরিষ্কার নয়।
তবে সব দিক বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে । এবং আশা করি অতি দ্রুত হত্যার রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে।