জামাল উদ্দীন – কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা অবৈধ করাত কলের যাতাকলে পড়ে শেষ হচ্ছে কক্সবাজারের দক্ষিণ বন বিভাগের সবুজ বনায়ন।
বন বিভাগ ধব্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে। কাঠ চোরের দল বন বিভাগের গাছ কেটে সাবাড় করার পাশাপাশি সামাজিক বনায়নও ধব্বংস করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কক্সবাজারের দক্ষিণ বন বিভাগের আওতাধীন টেকনাফের বাহার ছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর,শীলখালী,নোয়াখালী পাড়া, টেকনাফ সদরের মিঠাপানির ছড়া,লেঙ্গুরবিল,টেকনাফ পৌরএলাকা, হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা,রোহিঙ্গা টাল সংলগ্ন ব্রিকফিল্ড এলাকা,উত্তর লেদা পুচিঙ্গাপাড়ারোর্ড, হ্নীলা কিয়াংপাড়া,পশ্চিমসিকদার পাড়া,স্টেশন সংলগ্ন রশিদের রাইচ মিলের পশ্চিম পাশে, পশ্চিম পান খালী, মৌলভীবাজার আলীআকবর পাড়া,রোজারঘোনা,কম্বনিয়াপাড়া,ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল সহ আরো কয়েকটি এলাকায় অবৈধ করাতকল বসিয়েছে একশ্রেণীর অসাধু কাঠ ব্যবসায়ী।
এসব করাত কলে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে দিবা রাত্রি বন বিভাগও সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে এনে ছিড়াই করে বিভিন্ন বাজারে সাপ্লাই করছে কাঠ চোরের দল।
এতে করে একদিকে বন বিভাগের সবুজ বনায়ন উজাড় হচ্ছে অন্যদিকে সরকারওপাবলিক অংশীদার ভিত্তিতে রূপায়ন করা সামাজিক বনায়নও সাবাড় করছে তারা। এই ভাবেই করাত কল ব্যবহার করার সুবাদে কাঠ চোরের দলেরা বনবিভাগ ও সামাজিক বনায়ন সাবাড় করে গেলেও বন জায়গিরদার
নামের বন কর্মকর্তারা নিরব দর্শকের ভুমিকায় লিপ্ত রয়েছে।
উল্টো গোপনে ঐসব করাত কল মালিকও কাঠ চোরদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বন বিট কর্মকর্তারা নিয়মিত মাসোহরা নিয়ে এসব করার সুযোগ দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকাবাসী সূত্রের।
এব্যাপারে হ্নীলা বন বিট কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেছেন এইসব অবৈধ করাত কলের বিষয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত ভাবে জানিয়েছি এরা ব্যবস্থা না নিলে আমাদের করার কিছু নেই।
এবিষয়ে টেকনাফ রেঞ্জের এসিএফ মনিরুল ইসলাম বলেছেন বিট কর্মকর্তাদের মাধ্যমে করাতকল ব্যবসায়ীদের তালিকা সংগ্রহের কাজ চলছে সঠিক তালিকা পেলে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে অভিযান পরিচালনা করব।