মোহাম্মদ দুদু মল্লিক,শেরপুর।
শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পুলিশের এক কনস্টেবলের নামে মামলা করেছে ডা. হেফজুল বারী খান। শরিফুল ইসলাম নামের এ পুলিশ কনস্টেবল তার অবৈধ সম্পদের মাধ্যমে শেরপুর জেলা শহরের গৌরীপুর কাজীবাড়ী এলাকায় একটি সুরমা পাঁচতলা প্রাসাদ বাড়ী নির্মাণ করেছে। ওই বাড়িতে তার পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন এবং বাড়ীর বাকী ফ্ল্যাট ভাড়া দিয়েছেন। ওই বাড়ীর নির্মাণ ব্যয় আনুমানিক ২ কোটি টাকা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইহা ছাড়াও ওই কনস্টেবল অবৈধভাবে অর্জিত টাকা দিয়ে শেরপুর পৌরসভার নৌহাটা মৌজাস্থ বিআরএস ১৪১ নং খতিয়ানের ৪৫৮ নং দাগে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি জনৈক কামরুল হাসানের নিকট থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উল্লেখ করে ওই জমির শ্রেণী কান্দা দেখিয়ে পর্চা জাল করিয়া দলিলে কম মূল্য দেখিয়ে ক্রয় করেছে। যাহার প্রকৃতপক্ষে মূল্য ৩৫ লক্ষ টাকার ঊর্ধ্বে । এছাড়াও তিনি বিগত ২০১১ সালে ৯২১ নং সাব কাবলা দলিল মূলে জনৈক শিরিনের নিকট হইতে দেড় শতাংশ ভূমি ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ক্রয় করিয়াছে। এছাড়াও জানা অজানা তার রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ। কনস্টেবল শরিফুল ইসলাম বর্তমানে ঢাকা পুলিশ হেডকোয়ার্টারের কার্যালয়ে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। তার বিপি নং- ৮০০০০১৬৭১২। গ্রামের বাড়ি শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের চেঙ্গুরিয়া গ্রামে।সে ২০০০ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি লাভ করেন। এরপর তার এএসআই পদে পদোন্নতি হয়। এরপর থেকেই শুরু হয় তার অবৈধ সম্পদের পাহাড়।বিস্তারিত বিষয় উল্লেখ করে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত শেরপুরে ২০১৩ সালে দূর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা মোতাবেক ডা. হেফজুল বারী খান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে। কনস্টেবল শরিফুল ইসলামের পিতা আব্দুল মান্নান একজন অতিদরিদ্র কৃষক। এলাকাবাসীসহ অপরাপর কৃষকরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।এই দুর্নীতির নিউজ প্রকাশ করলে সাংবাদিক মোহাম্মদ দুদু মল্লিক কে প্রাণনাশের হুমকি দেন শরিফুলের ছোট ভাই সহিদুল ইসলাম।আসছে দ্বিতীয় পর্বে আরো বিস্তারিত।