আমির হোসেন,
স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ তাহিরপুর সীমান্তবর্তী কলাগাঁও পাহাড়ী ছড়া থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে নিচ্ছে বালুখেকো একটি চক্র। ফলে কলাগাঁও ছড়া সংলগ্ন মসজিদ, ঘরবাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ বিষয়ে নদীর দুই পাড়ের লোকজন প্রতিবাদ করলেও বালুখেকো চক্ররা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং উল্টো হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তাদের। এছাড়াও উপজেলার মাহারাম – শান্তিপুর নদী থেকে সরকারের নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে অসাধু বালুখেকো চক্ররা।
গত শনিবার রাতে সীমান্ত ছড়া ও নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনে বালু-পাথর উত্তোলনের অভিযোগে ১২ জনের নামে থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এছাড়া বাল্কহেড, ইঞ্জিনচালিত ট্রলার, বালু-পাথরসহ ৭৫ লাখ টাকার মালামাল জব্দ করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জামালগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস।
জানা যায়, তাহিরপুর সীমান্ত ঘেষা কলাগাঁও,লামাকাটা, ছাড়াগাঁও, লাকমা, বড়ছড়া, বুরুঙ্গাছড়া, বাঁশতলা সহ বিভিন্ন পাহাড়ি ছড়া দিয়ে ওপার থেকে ঢলের সঙ্গে বালু এসে স্তুপে পরিনত হয়েছে। ছড়ার পাশে, বাড়ীঘর, বাজার, মসজিদ মাদ্রাসা সহ শিক্ষা প্রতিষ্টান রয়েছে। এসব ছড়া থেকে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করে ছোট নৌকায় ভর্তি করে নদীতে নিয়ে বড় বাল্কহেডে ভর্তি করে অনত্র বিক্রি করছে চক্ররা। বালিবাহি নৌকা থেকে বিভিন্ন বাহিনীর নাম ভাঙ্গিয়ে স্থানীয় চাঁদাবাজরা টাকাও নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য রাশিদ মিয়া বলেন, কলাগাঁও ছড়ায় বর্তমানে পানি পরিপূর্ণ হওয়ায় এখন বালু উত্তোলন করার ফলে ছড়ার দুই পাড়ের বাড়ির ঘর একটু ঢেউ হলেই ভেঙে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শত শত নৌকা এসে বালু ভরাট করে নিয়ে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের সময়ে জায়গার মালিকদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। তিনি বলেন, হেমন্ত মৌসুমে ছড়ার বালু অপসারণ করলে এখানকার মানুষের অনেক উপকার হতো। তখন আর পাহাড়ি ঢল বাড়ি ঘরের উপর দিয়ে যেতো না।
কলাগাঁও গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, কলাগাঁও নদী থেকে রাতের আধারে শত শত নৌকায় বালু ভরাট করে নিয়ে যাচ্ছে বালু খেকো চক্ররা। গত এক মাস ধরে অবাধে বালু নিচ্ছে এ চক্রটি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা পারভীন বলেন, কলাগাঁও ছড়া ও মাহারাম নদী সরকারি ভাবে কোনো ইজারা দেওয়া হয়নি। কেউ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।